আব্দুল্লাহ আল মামুন, সৌদিআরব প্রতিনিধি : [২] কয়েক দশক ধরে সৌদি আরবের বাণিজ্যিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আযান এবং নামাজের সময় বন্ধ রাখা হত। গাড়িগুলো পেট্রোল স্টেশনগুলি খোলার জন্য অপেক্ষায় থাকত,এবং ফার্মেসী, রেস্তোঁরা,সুপারমার্কেটের পৃষ্ঠপোষকরা গ্রাহকদের বাইরে অপেক্ষা করতে দেখা যেত ।
[৩] এইসব অসুবিধার সেই দিনগুলি এখন থেকে আর সৌদিতে থাকছে না । শুক্রবার সৌদি চেম্বারসের প্রধানের জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সৌদিআরব নামাজের সময়ে দোকানগুলিকে খোলা রাখার অনুমতি দেবে।
[৩] আরব নিউজের প্রতিবেদনে জানা যায়, শপিংয়ের অভিজ্ঞতা এবং ক্রেতাদের জন্য পরিষেবাগুলির স্তর উন্নত করার প্রয়াসে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার বিষয়ে সৌদি চেম্বার্সের প্রধান আজলান বিন আবদুল আজিজ আল-আজলান তার বিজ্ঞপ্তিতে সৌদি চেম্বারস অফ কমার্সের সকল সদস্যদের অবহিত করেন ।
[৪] এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে মন্তব্য করে সৌদি আরবের রাজনীতি ও অর্থনীতি বিষয়ক লেখক ও ভাষ্যকার আলী সমীর শিহাবী টুইট করেছেন যে, নামাজের সময় দোকানপাট খোলা রাখা ধর্মীয়দের আধিপত্যের অবসান হওয়ার বিশাল প্রতীকী এবং ব্যবহারিক পদক্ষেপ হিসেবে দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ হবে ।
[৫] শিহাবী আরও বলেন, নামাজের জন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়া লোকেরা দীর্ঘ বিরতি নিতে বা গ্রাহকদের পণ্য ও পরিষেবার জন্য অপেক্ষা করিয়ে রাখা একটি অজুহাত ছিল।
[৬] অর্থনীতিবিদ হাবিবুল্লাহ আল-তুরকিস্তানি বলেন যে,এই সিদ্ধান্তের জাতীয় অর্থনীতিতে কোনও প্রভাব পড়বে না। নামাজের সময় দোকান ও ব্যবসা-বাণিজ্য উন্মুক্ত রাখার বিতর্ক দীর্ঘকাল ধরে সৌদি সমাজের লোকদের মধ্যে অনেকগুলি আলোচনার বিষয়ের মধ্যে অন্যতম হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
[৭] সাম্প্রতিক এই সংস্কারগুলির আগে, লঙ্ঘনগুলি পর্যবেক্ষক করতে হায়া বা ধর্মীয় পুলিশ হিসাবে পরিচিত,(সিপিভিপিভি) এর প্রচার ও প্রতিরোধের জন্য কমিশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়েছিল।কমিশন অফিসারগণ দোকানদারদের গ্রেপ্তার এবং শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা ছিল এমনকি কয়েক মিনিটের জন্য তাদের দোকান বন্ধ করতে দেরি করার জন্য হলেও শাস্তি পেতে হত, প্রবাসী দোকান পরিচারকদের আটক থেকে নির্বাসন পর্যন্ত শাস্তি দেওয়ার বিধান ছিল । সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ