হাসান তাকী [২] মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ চলাকালে গত পাঁচ মাসে পুলিশের গুলি ও জান্তা সরকারের নিপীড়নে অন্তত ৭৫ শিশুকে হত্যা করেছে। জোরপূর্বক আটক রাখা হয়েছে প্রায় ১ হাজার শিশুকে। এসব শিশুরা বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষা ও প্রয়োজনীয় চিকিত্সা সেবা থেকে।
[৩] শুক্রবার এমনটা জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু অধিকারবিষয়ক বিশেষজ্ঞরা। জাতিসংঘ বলছে, গত ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে জান্তা সরকারের নিপীড়নে মানবেতর জীবন-যাপন করছে শিশুরা। প্রতিদিন সহিংসতা, নির্বিচারে গুলি ও গ্রেপ্তারের মুখোমুখি হচ্ছে তারা। বাড়ছে শিশুদের মৃত্যুঝুঁকিও।
[৪] এদিকে জাতিসংঘ শিশু অধিকার কমিটির প্রধান মিকিকো ওতানি এক বিবৃতিতে বলেছেন, সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারে বহু শিশুকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া অনেকের জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। কিছু শিশুকে তাদের বাড়িতে হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ করে মিয়ানমারের সেনা ও পুলিশের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন কমিটির সদস্যরা। প্রথম আলো
[৫] অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে সামরিক বাহিনী ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর বিক্ষোভ নিয়ে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন। বেসামরিক সরকারের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে তারা প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন। বিক্ষোভে শিশুরাও অংশ নিয়েছে। সামরিক বাহিনীও নৃশংসভাবে সেই বিক্ষোভ দমন করছে। এতে বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। মিকিকো অতানি, অভ্যুত্থানে শিশুরা নির্বিচারে সহিংসতার মুখে পড়েছে। তাদের এলোপাতাড়ি গুলি করা হয়েছে এবং বিচারবহির্ভূতভাবে আটক করা হয়েছে। তাদের দিকে বন্দুক তাক করা হয়েছে, যেমন আচরণ তাদের বাবা-মায়ের সঙ্গেও করা হয়েছে। সময় টিভি
[৬] ১৮ জন স্বাধীন গবেষক নিয়ে জাতিসংঘের শিশু অধিকার কমিটি। শিশু অধিকারে জাতিসংঘের কনভেনশন মেনে চলা হচ্ছে কিনা; তা পর্যবেক্ষণ করাই এই কমিটির কাজ। ১৯৯১ সালে শিশু অধিকার সনদে সই করেছে মিয়ানমার। মান্দালয়া শহরে ছয় বছর বয়সী একটি শিশুর পেটে গুলি করা হয়েছিল। এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও চিকিৎসাসেবা কেন্দ্রে বড় ধরনের সংকট দেখা দেওয়ায় বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :