অনন্যা আফরিন: [২] লকডাউন শিথিল হওয়ায় চলছে গণপরিবহন। কোরবানির পশুবাহী ট্রাকের কারণে বেড়েছে যানবাহনের চাপ। তার ওপর পদ্মায় তীব্র স্রোতে বিঘ্নিত হচ্ছে ফেরি চলাচল। এমন সমীকরণেই রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া প্রান্তে সৃষ্টি হয়ছে পণ্যবাহী,পশুবাহী ও যাত্রীবাহী যানবাহনের দীর্ঘ সারি।
[৩] সরেজমিনে ঘাট এলাকায় দেখা যায়, দীর্ঘদিনের খরা কাটিয়ে স্বরূপে ফিরেছে দৌলতদিয়া ঘাট। এতদিন ঘাটে নদী পারের অপেক্ষায় মহাসড়কে যানবাহন দেখা না গেলেও গতকাল লকডাউন শিথিলের প্রথম দিন থেকেই দৌলতদিয়া ঘাট তার চিরচেনা রূপে ফিরে এসেছে। প্রতিটি যানবাহনকে ফেরি পারের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে দীর্ঘ সময়।
[৪] সকাল ১০টা নাগাদ ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া জিরো পয়েন্ট থেকে দৌলতদিয়া ইউনিয়ন বোর্ড পর্যন্ত প্রায় ৩ কিমি এলাকায় তিন শতাধিক পশুবাহী ও যাত্রীবাহী যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন চালক ও যাত্রীরা।
ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে আজও দেশের দক্ষিণবঙ্গগামী ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের চাপ রয়েছে।
[৫] বিধিনিষেধ শিথিলের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার (১৬ জুলাই) সকাল হতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছোট-বড় যানবাহনে চড়ে যাত্রীরা ঘাটে উপস্থিত হচ্ছেন। ঘাটে আসা যাত্রীরা ফেরি ও লঞ্চে যোগে পদ্মা পারাপার হচ্ছেন।এদিকে গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ বাড়ায় ফেরিতে যানবাহন পারাপারে বেগ পেতে হচ্ছে। এতে ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে ৬ শতাধিক ব্যক্তিগত গাড়ি ও পণ্যবাহী ট্রাক। বাড়তি গাড়ির চাপে ব্যক্তিগত ও গণপরিবহনে আসা যাত্রীদেরও নদী পারাপারে অপেক্ষা করতে হচ্ছে দীর্ঘক্ষণ।
[৬] শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে লঞ্চ সচল থাকায় ফেরিতে যাত্রী চাপ ও গাদাগাদি কমে এসেছে। তবে লঞ্চগুলোতে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। অর্ধেক যাত্রী ধারণের কথা থাকলেও অধিকাংশ লঞ্চে অধিক যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে।সরজমিনে দেখা যায়, লঞ্চঘাটে শতশত যাত্রীদের ঢল। ফেরিঘাটের অভিমুখে পার্কিং ইয়ার্ডে যানবাহনের দীর্ঘ সারি। ব্যক্তিগত ও পণ্যবাহী ছোট-বড় শতশত গাড়ি পারাপারের জন্য অপেক্ষা করছে। এতে অপেক্ষারত যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
[৭] বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ) শিমুলিয়া নদী বন্দর কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ১৩টি ফেরি ও ৮২টি লঞ্চ সচল রয়েছে।এ বিষয়ে বিআইডাব্লিউটিএ শিমুলিয়াঘাটের সহকারী উপ-মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, পর্যায়ক্রমে সব যানবাহন পারাপার করা হবে। লঞ্চ চালু হওয়ায় ফেরিতে যাত্রী চাপ কমেছে। তবে গণপরিবহন ও প্রচুর ব্যক্তিগত গাড়ি ঘাটে আসায় পণ্যবাহী ট্রাকে পারপারে বেগ পেতে হচ্ছে।