অনির্বাণ আরিফ: তালেবান থেকে জামায়াত, হেফাজত থেকে আইএস প্রায় সব ধরনের উগ্রবাদীরা ‘গাজওয়াতুল হিন্দ’র কথা বলে কিন্তু এদের কারো মুখে আপনারা ‘গাজওয়াতুল চীন’ কিংবা অন্য কোনো গাজওয়ার কথা শুনতে পাবেন না। বিশ্বের মধ্যে একমাত্র রাষ্ট্র চীন যেখানে ব্যক্তিগত ধর্ম পালন নিষিদ্ধ, ধর্মীয় শিক্ষা নিষিদ্ধ এমনকি ধর্মীয় কোন চিহ্ন বহন করা পর্যন্ত নিষিদ্ধ। চীনের উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়কে চীনের রাষ্ট্রীয় বাহিনী কর্তৃক নির্যাতনের খবর কেবল পশ্চিমা মিডিয়া না মুসলমানদের মিডিয়া আল-জাজিরাতে ধারাবাহিকভাবে রিপোর্ট হচ্ছে, তবুও চীন নিয়ে ইসলামি কোনো একটা উগ্রবাদী গোষ্ঠীর আপত্তি কিংবা অভিযোগ কেন নেই, আপনাদের কি মাথায় এই প্রশ্ন ঘোরে না?
ভারত একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। মোদীর মতো উগ্র হিন্দুত্ববাদী নেতা ভারতের মসনদে ক্ষমতাসীন হলেও সেখানে এখন পর্যন্ত সকল ধর্ম পালন ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। তবুও সমগ্র মুসলিম দুনিয়ার সকল উগ্রবাদী গোষ্ঠীগুলো কেন চীনের সমালোচনা না করে কেবল গাজওয়াতুল হিন্দের স্বপ্ন দেখে তার অন্যতম কারণ দুইটি।
এক. একসময় মুসলমানদের স্বপ্ন ছিলো সমগ্র ভারতবর্ষ মুসলমানদের করে ফেলবে কিন্তু সে স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়নি ব্রিটিশদের কারণে যার জন্য মুসলমানদের মধ্যে যারা উগ্র ধর্মীয় জাতীয়তাবাদী তারা এখনো সে কষ্ট অন্তরে ধারণ করে এবং গাজওয়াতুল হিন্দ তথা ভারত ধ্বংসের ইচ্ছে পোষণ করে। এটি ঐতিহাসিক কারণ। দুই. পাকিস্তান জন্ম থেকে সমগ্র উগ্রবাদী ইসলামি গোষ্ঠীর আঁতুড়ঘর। সে পাকিস্তান আবার চীনের অন্যতম মিত্র। যেহেতু পাকিস্তানের মিত্র চীন সেহেতু চীন নাস্তিক হোক আর বুদ্ধিস্ট হোক আর ফ্যাসিস্ট হোক কোন সমস্যা নেই উপরন্তু চীন আবার হিন্দের তথা ভারতের একমাত্র শত্রুদেশ সুতরাং চীনকে পীর বানালে সবদিক থেকেই লাভ। এবং এটাই বদলে যাওয়া দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে উগ্রবাদী গোষ্ঠীর নতুন জিও-পলিটিক্যাল থিউরি। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :