শিরোনাম
◈ গাজীপুরে হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু  ◈ বিশৃঙ্খলার পথ এড়াতে শিশুদের মধ্যে খেলাধুলার আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ◈ তাপপ্রবাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ ঘোষণা ◈ সোনার দাম কমেছে ভরিতে ৮৪০ টাকা ◈ ঈদযাত্রায় ৪১৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৩৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি ◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সেই সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১৫ জুলাই, ২০২১, ০৯:৪১ রাত
আপডেট : ১৫ জুলাই, ২০২১, ০৯:৪১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নিখোঁজ শিশু সন্তানকে খুঁজে দেয়ার নামে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, মূল আসামি গ্রেপ্তার

সুজন কৈরী: নিখোঁজ শিশু সন্তানকে খুঁজে দেওয়ার কথা বলে নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার মূল আসামি সোহাগ দেওয়ানকে (৩৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

বৃহস্পতিবার সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. আজাদ রহমান জানান, সন্তান জন্ম নেয়ার দুই মাসের মধ্যেই ভুক্তভোগীর নারীর স্বামী সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে যান। ভুক্তভোগী নারী খুলনায় থাকেন। সন্তানকে ফিরে পেতে ভিকটিম পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেন। সোহাগ পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞাপন থেকে ভিকটিমের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে ভুক্তভোগীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

সোহাগ নিজেকে ক্ষমতাবান ও উচ্চ পর্যায়ে ভাল সম্পর্কের কথা বলে সন্তানকে খুঁজে দেওয়ার নাম করে ভিকটিমের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। ভিকটিম টাকা ফেরত চাইলে দেওয়া নামে সোহাগ ও তার সহযোগীরা ভিকটিমকে নিজ বাড়িতে নিয়ে সরবতের সঙ্গে ওষুধ মিশিয়ে পান করিয়ে অজ্ঞান করেন ও ধর্ষণ করেন এবং ভিডিও ধারন করেন। পরে ভিডিও দেখিয়ে অভিযুক্তরা ভিকটিমকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখাতে থাকেন। এক পর্যায়ে ভিকটিম খুলনা থেকে ঢাকায় পালিয়ে আসেন। কিন্তু ঢাকায় এসেও তিনি ধর্ষণের শিকার হন। পরে এই ঘটনায় রাজধানীর মুগদা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন ভুক্তভোগী।

সিআইডি কর্মকর্তা আজাদ জানান, সিআইডি মামলার ছায়া তদন্ত শুরু করে। সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষন ও নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে মূল আসামির সম্ভাব্য লুকিয়ে থাকার সকল স্থানে অভিযান চালান। তার দিক নির্দেশনায় সিআইডি’র একটি দল মামলার মূল আসামি সোহাগের অবস্থান সনাক্তের পর গ্রেপ্তার করে।

মামলার পর থেকে সোহাগ দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার সিআইডি তথা পুলিশের একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়