শিরোনাম
◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অপরাধের কারণেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের  বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী  ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি  ◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক

প্রকাশিত : ১৫ জুলাই, ২০২১, ১০:৩৮ দুপুর
আপডেট : ১৫ জুলাই, ২০২১, ১০:৩৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নোবেল পাওয়া আর গবেষণা প্রতিষ্ঠান খুলে অন্যকে সুযোগ দেওয়া ভিন্ন জিনিস

কামরুল হাসান মামুন, ১৯৪৭ এর পূর্বে প্রফেসর আব্দুস সালাম যখন মেট্রিক পরীক্ষায় রেকর্ড নম্বর পেয়ে পাশ করার সংবাদ তার নিজ শহরে ছড়িয়ে পরে। ফলাফল পাওয়ার পর সে যখন সাইকেল চালিয়ে বাসায় ফিরছিল পথে পথে মানুষ রাস্তায় দাঁড়িয়ে করতালির মাধ্যমে তাকে অভিনন্দন জানায়। তখন কেউ প্রশ্ন করেনি সেতো কাদিয়ানী, সেতো মুসলমান না ইত্যাদি। অথচ ৪৭ এর পরে কদিয়ানীকে অমুসলিম ঘোষণা করে। তার কবরে লেখা ছিল মুসলিম বিজ্ঞানী সেখান থেকে "মুসলিম" শব্দটি মুছে ফেলে। সারাটি জীবন মুসলমানদের জন্য কতকিছুই না করে গেছেন।

পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটি থেকে রেকর্ড মার্ক্স্ নিয়ে মাস্টার্স করে প্রফেসর সালাম ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করতে যান। সেখানে পিএইচডি শেষে আবার পাকিস্তানে ফিরে আসেন। তার ইচ্ছে ছিল একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান খুলে নিজে গবেষণা করবেন এবং অন্যদের গবেষণার অনুপ্রেরণা দিবেন। তিনি প্রথমে জয়েন করেন একটি সরকারি কলেজের শিক্ষক হিসাবে পরে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের প্রধান হিসাবে জয়েন করেন। সেইদুটি জায়গায় কাজ করতে গিয়ে কিছুদিনের মধ্যেই বুঝতে পারেন দেশে বসে যেইরকম বিশ্বমানের কাজ তিনি করতে চান তা সম্ভব না। ঠিক তখনই তিনি আবার ইংল্যান্ডে ফিরে যান।

নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন তৃতীয়বিশ্বে বিশেষ করে এই উপমহাদেশে গবেষণা করা কত কঠিন। সেটা বুঝতে পেরে তিনি ইতালিতে গড়ে তুলেন একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান যাতে তৃতীয় বিশ্বের শিক্ষক গবেষকরা এসে কিছুদিনের জন্য সুন্দর পরিবেশে থেকে বিশ্বমানের গবেষকদের সাথে কাজ করার সুযোগ পায়। সেজন্য নোবেল পুরস্কার পাওয়ার অনেক আগেই জাতিসংঘ এবং ইতালির সরকারের কাছে আবেদন করেন। ইতালির সরকার তাকে জায়গা নির্বাচন করতে বলেন। সারা ইতালি ঘুরে ত্রিয়েস্ত শহরকেই তিনি বেছে নেন। সমুদ্র আর পাহাড়ের মিলনস্থলেই তৈরী করেন ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর থিওরিটিক্যাল ফিজিক্স। নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর পুরস্কারের সমস্ত অর্থও তিনি তৃতীয়বিশ্বের শিক্ষা ও গবেষণা খাতেই ব্যয় করেন। এই জন্যই আমি বলি এই পর্যন্ত ২১৬ জন পদার্থবিদ নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন কিন্তু এইরকম আর একজনকেও পাওয়া যাবে না যিনি প্রফেসর সালামের মত একটি সেন্টার তৈরী করতে পেরেছেন।

প্রফেসর সালামের একটা স্বপ্ন ছিল যে তৃতীয় বিশ্বের ছেলেমেয়েরা পিএইচডি করতে যাবার আগে উন্নত বিশ্ব আর তৃতীয় বিশ্বের লেখাপড়ার যে গ্যাপ আছে সেইটা একটা ডিপ্লোমা কোর্সের মাধ্যমে মিটিয়ে তারপর পিএইচডি করুক। উনার সেই স্বপ্নের কোর্স শুরু হয়েছে উনি অবসরে যাওয়ার পর যখন তার শরীর সত্যিই অনেক খারাপ। আমি ছিলাম সেই প্রথম ব্যাচের ডিপ্লোমা কোর্সের একজন। আমি ছিলাম কনডেন্সড ম্যাটার ফিজিক্সে আর বাংলাদেশ থেকে হাই এনার্জি ফিজিক্সে ছিল আরশাদ মোমেন। সেই ডিপ্লোমা কোর্সের ৩০ তম বর্ষ খুবই ধুমধামে উদযাপন করতে যাচ্ছে ICTP! ভাবা যায় এর মধ্যে ৩০টি বছর চলে গেছে অথচ সবকিছুই আমি গতকালকের মত করে স্মরণ করতে পারি। এই ডিপ্লোমা কোর্সই আমার জীবনের কোর্সকে পাল্টে দেয় academically এবং পার্সোনাল লাইফেও।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়