লিহান লিমা: [২] মার্কিন সরকারের তথ্যে দেখা গিয়েছে জুনে আরেক দফায় দেশটিতে ভোক্তাপণ্যের দাম বেড়েছে। যা দেশটিতে পুনরায় মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে। আল জাজিরা
[৩] মার্কিন শ্রম অধিদপ্তর জানিয়েছে, মে মাসে ভোক্তাপণ্যের মূল্য ০.৬ শতাংশ বৃদ্ধির পর গত মাসে পুনরায় এটি ০.৯ শতাংশ বেড়েছে। যা ২০০৮ সালের জুনের পর থেকে এক মাসের মধ্যে দ্রুততম পরিবর্তন। গত ১২ মাসের সূচকে ভোক্তাপণ্যের সামগ্রিক মূল্য সূচক জুড়ে বেড়েছে ৫.৪ শতাংশ-যা ২০০৮ সালের আগস্টের পর থেকে বৃহত্তম বার্ষিক বৃদ্ধি।
[৪] স্বল্পহারে মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিলে এটিকে অর্থনীতির জন্য ভালো বলেই ধরা হয় কারণ এটি দাম কমার প্রত্যাশায় বসে থাকার চাইতে গ্রাহকদের পণ্য ও সেবা কিনতে উৎসাহিত করে। তবে খুব বেশি মুদ্রাস্ফীতি খারাপ বিশেষত এটি যদি ভয়াবহভাবে দাম বাড়িয়ে দেয় যা মুদ্রানীতিনির্ধারকদের সুদের হার বৃদ্ধি এবং সম্ভাব্যভাবে মহামারী থেকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকে প্রভাবিত করে।
[৫] মুদ্রাস্ফীতির দুইটি কারণের মধ্যে উদার সরকারি প্রণোদনা সুবিধার অস্থায়ী ফল এবং কাঁচামাল সরবরাহে বাঁধা কাটা, ব্যবসায়ে শ্রমের পুনযোগদান ও মহামারীর সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে গ্রাহকের চাহিদা বৃদ্ধিকে দায়ী করছেন অর্থনীতিবিদরা।
[৬] মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ প্রধান জেরোম পাওয়েল বলেছেন, তিনি ও তার সহকর্মী মুদ্রা নীতিনির্ধারকরা বলেছেন, যদি এটি করোনাকালীন চাকরির ক্ষতিগ্রস্ত চাকরির বাজারকে ঠিক করতে সহায়তা করে তবে তারা কিছু সময়ের সময়ের জন্য মুদ্রাস্ফীতির হার ফেডের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২ শতাংশের জন্য সহ্য করতে প্রস্তুত। তবে অন্য অর্থনীতিবিদরা বলছেন মুদ্রাস্ফীতি অস্থায়ী না হয়ে থেকে যেতে পারে এবং তখন ফেডারেলের হাতে নিয়ন্ত্রণ করার সময় খুব কম থাকবে।
[৮] অর্থনীতিবিদদের মধ্যে চাকরির বাজার নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। জুনে দেশের বেকারত্বের হার ছিলো ৫.৯ শতাংশ- যা মহামারী পূর্ববর্তী সময়ের চেয়ে ৩.৫ শথাংশ বেশি। এবং গত মাসে বেকার শ্রমিকের সংখ্যা ছিলো ৯৫ লাখ। কিন্তু মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রে ৯২ লাখ চাকরি উন্মুক্ত হয়। যা মার্কিনীদের চাকরির সম্ভাবনাকে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে, মে মাসে ৩৬ লাখ মানুষ নিজেদের চাকরি ছেড়েছেন। কেউ কেউ বেকারত্বের জন্য সরকারের সপ্তাহিক ৩০০ডলার বেকার ভাতার সুবিধাকে দায়ী করছেন।
[৯] এদিকে মুদ্রাস্ফীতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বল্প আয়ের পরিবারগুলো সবচেয়ে বেশি ভুগছে কারণ তাদের আয়ের বৃহত্তর অংশই চলে যায় খাদ্য ও জ্বালানীর মতো প্রয়োজনীয় ব্যয়ে। খাদ্যমূল্য মে মাসে ০.৪ শতাংশ বাড়ার পর জুনে বাড়ে ০.৮ শতাংশ। জ্বালানির মূল্য মে মাসে অপরিবর্তিত থেকে গত মাসে ১.৫ শতাংশ বাড়ে। বেড়েছে ব্যবহৃত গাড়ি, নতুন যানবাহন, বিমান ভাড়া ও পোশাকের দাম।
আপনার মতামত লিখুন :