মাসুদ আলম : [২] গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- জাহিদ হাসান ওরফে রেজাউল, মানিক বেপারী ওরফে দারোগা মানিক, ফারুক হোসেন ওরফে নাসির উদ্দিন ও রুবেল সিকদার ওরফে রুস্তম। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুর থানার বসিলা এলাকায় অস্ত্র ও পুলিশের সরঞ্জামসহ ডিবির জ্যাকেট পরিহিত অবস্থায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে ডিবি তেজগাঁও বিভাগ। তাদের কাছ থেকে ১টি বন্দুক, ১টি চাপাতি, ২ টি ছোরা ও ১ লাখ ৮০ হাজার টাকাসহ ডাকাতিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
[৩] বুধবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা সংঘবদ্ধ আন্তঃনগর ডাকাত দলের সদস্য। তারা আসন্ন ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে পশুর হাটে আগত বেপারী ও ক্রেতাদের ডাকাতি করার পরিকল্পনা করছিলো।
[৪] তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা ডিবি পুলিশের ছদ্মবেশে রাজধানী ও আশেপাশের বিভিন্ন জেলার সড়কে রাতে চেকপোস্ট বসিয়ে ডাকাতির চেষ্টা করত। এছাড়াও তারা বিভিন্ন ব্যাংকের আশেপাশে ওঁতপেতে থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা উত্তোলন ও পরিবহনকারী ব্যক্তিকে অনুসরণ করত। পরবর্তী সময়ে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে টাকা পরিবহনকারী ব্যক্তিকে গাড়ীতে তুলে নিয়ে ডাকাতি করে এবং ভিকটিমের হাত-পা বেধে দূরবর্তী স্থানে ফেলে দিত। গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই হাজতবাস ও জেল খেটেছে।
[৫] হারুন অর রশিদ বলেন, ডিবি পুলিশ সব সময় বা সব জায়গায় চেকপোস্ট বসায় না। সুতরাং পুলিশ পরিচয়ে কেউ সবকিছু নিতে চাইলে ভেরিফাই করুন। আশেপাশের পোশাকে অন ডিউটিতে থাকা অন্য পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত হোন। ঈদকে কেন্দ্র করে গরুর পাইকার, গার্মেন্টস ব্যবসায়ী কিংবা যে কেউ মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেন করলে পুলিশকে জানান। পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে মানিস্কট সেবা নিন। মোটা অঙ্কের টাকার লেনদেনে অলিগলি পথ এড়িয়ে চলুন। যেখানে সিসি ক্যামেরা আছে সেখানে বসে লেনদেন করুন।
আপনার মতামত লিখুন :