মঈন উদ্দীন: [২] পুঠিয়া উপজেলার পুঠিয়া চারআনি এলাকার অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য আক্তার হোসেন খান (৬৩) গত ১৯ জুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। রামেক হাসপাতালে চিকিৎসার পর গত ৭ জুলাই দ্বিতীয়বার নমুনা পরীক্ষার পর তিনি করোনামুক্ত হন।
[৩] তবে করোনা পরবর্তী জটিলতা আর কাটিয়ে উঠতে পারেননি তিনি। আগের চেয়ে জটিলতা বেড়ে যায়। দুইদিন পর ৯ জুলাই তিনি মারা যান। করোনায় ফুসফুসে ইনফেকশন হয় এবং তা পুরো ফুসফুসে ছড়িয়ে পড়ায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে গত ২ জুলাই রামেক হাসপাতালে করোনামুক্ত হওয়ার পরও পরবর্তী জটিলতায় মারা যান তার বড়ভাই দেলোয়ার হোসেন (৬৫)।
[৪] হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, চলতি মাসের ১২ দিনে এ হাসপাতালে করোনা পরবর্তী জটিলতায় মারা গেছেন ১২ জন। যাদের মধ্যে শেষ দুইদিনে মারা যান পাঁচজন। করোনামুক্ত হয়ে পরবর্তী জটিলাতায় মারা যাওয়া সবার বয়স পঞ্চাশোর্ধ্ব। তারা সবাই করোনামুক্ত হলেও ফুসফুসে ইনফেকশনসহ নানা জাটিলতায় ভুগছিলেন।
[৫] তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন করোনায় মৃত্যুর যে তথ্য দিয়ে থাকি তারা কেবল করোনা পজিটিভ অবস্থায় মারা যাচ্ছে। কিন্তু যারা পোস্ট কভিড বা করোনা-পরবর্তী জটিলতায় মারা যাচ্ছে তাদের আলাদা করে হিসাব রাখা হয়নি। তবে চলতি মাস থেকে সে হিসেবও দেয়া হচ্ছে।’
[৬] শামীম ইয়াজদানী আরও বলেন, ‘করোনা-পরবর্তী জটিলতায় যারা মারা যাচ্ছেন তাদের বেশির ভাগই মূলত আগে থেকেই নানা ধরনের জটিল রোগে আক্রান্ত ছিল। ফলে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর তাদের জটিলতা আরো বেড়ে যায়। বিশেষ করে যাদের নিয়ন্ত্রণহীন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, কিডনির সমস্যা, অ্যাজমা, ক্যান্সার কিংবা বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতা রয়েছে তাদের ঝুঁকি আরও বেশি।’ সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :