লিহান লিমা: [২]আফগানিস্তানে মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনীর শীর্ষ জেনারেল অস্টিন স্কট মিলার আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক মিশনের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সৈন্যবাহিনী সম্পূর্ণরুপে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়ার পর সোমবার পদত্যাগ করেন জেনারেল স্কট। সিএনএ
[৩]এরআগে বাইডেন জানান, আফগান জনগণকে অবশ্যই নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি প্রজন্মকে তিনি অঞ্চলটিতে যুদ্ধে পাঠাবেন না। তবে কাবুলের মার্কিন দূতাবাস এবং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সুরক্ষার জন্য প্রায় ৬৫০ জনের মতো সেনা থেকে যাবে।
[৪]সোমবার এক অনুষ্ঠানে জেনারেল স্কট তার দায়িত্ব দুই মার্কিন জেনারেলের কাছে হস্তান্তর করেন। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় কমান্ডের (সেন্টকম) প্রধান জেনারেল ফ্রাঙ্ক ম্যাকেনজি আফগানিস্তানে রয়ে যাওয়া বাদ বাকি সৈন্যদের নেতৃত্ব গ্রহণ করতে কাবুল পৌঁছেছেন।
[৫]আবেগঘন ভাষণে আফগান সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যেজেনারেল স্কট বলেন, ‘বিদায় বলাটা আমার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আফগানিস্তানে এরপর কি হতে যাচ্ছে তা যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের জানা কঠিন হবে।’ আফগানিস্তানে ন্যাটো ও মার্কিন মিশনের দায়িত্ব পালন করাকে নিজের ক্যারিয়ারের ‘গুরুত্বপূর্ণ সময়’ বলে অভিহিত করেন স্কট। বিবিসি
[৬]মার্কিন সেনা সরিয়ে নেয়ার বাইডেনের সময়সীমার পূর্বেই ন্যাটোভূক্ত অন্য দেশগুলো আফগানিস্তান থেকে সেনা সরিয়ে নিয়েছে। একই সঙ্গে আফগানিস্তানের বেশিরভাগ অঞ্চল (৮৫ শতাংশ) নিজেদের কবজায় নিয়েছে তালেবান। আরেক সমীক্ষা বলছে, তালেবান আফগানিস্তানের প্রায় এক তৃতীয়াংশ জেলার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
[৭]২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইট টাওয়ারে হামলার হোতা ওসামা বিন লাদেন ও তার সহযোগীদের আশ্রয় দেয়ার অভিযোগে আফগানিস্তানে হামলা চালিয়ে তালেবানকে ক্ষমতাচ্যুত করে মার্কিন বাহিনী। মার্কিন তদন্ত প্রতিবেদন বলছে, যুক্তরাষ্ট্র সেনা সরিয়ে নেয়ার ছয় মাসের মধ্যে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেবে তালেবান। তবে বাইডেন এই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, কাবুল মার্কিন সমর্থিত আফগান সরকারের নিয়ন্ত্রণেই থাকবে।