মাসুদ আলম : [২] সোমবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান আসাদুজ্জামান বলেন, রোববার বিকালে যাত্রাবাড়ী থেকে আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে ডেভিড কিলার এবং রাতে কেরানীগঞ্জ থেকে কাউসার হোসেন ওরফে মেজর ওসামাকে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসি। মামুনের দেয়া তথ্যে ওই রাতে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার নোয়াগাঁও এলাকার জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালিয়ে ৩ টি শক্তিশালী বোমা উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করা হয়। বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
[৩] তিনি বলেন, কাউসারের তথ্যের ভিত্তিতে বন্দর থানার কাজীপাড়া এলাকায় অপর জঙ্গী আস্তানায় অভিযান চালিয়ে বোমা তৈরি সরঞ্জামাদি, ৪ টি রিমোট কন্ট্রোল ও জিহাদী বই উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা বোমা তৈরির কারিগর ও প্রশিক্ষক। দুজন জেএমবির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকলেও তাদের মধ্যে কোনো যোগসাজশ ছিলো না। নব্য জেএমবির আমিরের নির্দেশে আলাদাভাবে কাজ করতো তারা।
[৪] তিনি আরেও বলেন, কাউসার নব্য জেএমবি’র সামরিক শাখার প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলো। সামরিক শাখার অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে অনলাইনে ও অফলাইনে যোগাযোগ রক্ষা করে বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ দিতো। নব্য জেএমবির আমীর মাহাদী হাসান ওরফে আবু আব্বাস আল বাঙ্গালীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতো।
[৫] গত ১৭ মে সাইনবোর্ড এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ বক্সে যে বোমাটি রাখা হয়েছিলো সেটি গ্রেপ্তারকৃত মামুনের আস্তানায় তৈরি করে তার এক সহযোগীর মাধ্যমে নিয়ে আসা হয়েছিলো। টার্গেট ছিলো সেখানে হামলা করা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছিলো তাদের অন্যতম টার্গেট।
আপনার মতামত লিখুন :