আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] ৪ মিনিটের ভরশূন্যতা ও শ্বাসরুদ্ধকর দৃশ্যের স্বাক্ষী হওয়া। রোববার এমনই অভিজ্ঞতার মুখে পড়েছেন ব্রিটিশ বিলিওনিয়ার রিচার্ড ব্র্যানসন। ২০ বছরের চেষ্টার পর ভার্জিন গ্যালাকটিকোজের ভিএসএস ইউনিটি সফল হয়েছে। এতে ব্র্যানসনের খায়েশ সফল হলো শুধু তাই নয়, মহাকাওেশ নতুন নতুন অভিযানের দুয়ার খুলে গেলো। মহাকাশে আবারো স্পেস রেস শুরু হয়েছে। তবে এবার দুই পরাশক্তি লড়ছে না। লড়ছেন পৃথিবীর ৩ অতিধনী। যখন ধনীরা এই লড়াইয়ে নেমেছেন, তখন প্রশ্ন উঠবেই তারা কি নিজেদের শখ পূরণ করছেন, না সম্ভাব্য ব্যবসার সুযোগ তৈরি করছেন। সম্ভবত পরেরটাই সত্য। এরা সফল ব্যবসায়ী। ব্যবসার সুযোগ ছাড়া তারা কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ ব্যয় করবেন, এই ধারণার কোনো সুযোগই নেই। মহাকাশে পর্যটন সম্ভবত ভবিষ্যত পৃথিবীর অন্যতম লোভনীয় ব্যবসা হতে যাচ্ছে।
[৩] মজার বিষয় হলো জেফ বেজোস বা রিচার্ড ব্যানসন কিন্তু মহাকাশ বলতে দূরদুরান্তের কোনো জায়গা বোঝাচ্ছেন। এই মহাকাশ হলো বায়ুমণ্ডলের প্রান্ত। কারিগরিভাবে তা অবশ্যই মহাকাশ। এই ব্যাপারে সন্দেহ করার কোনো সুযোগই নেই। এই পর্যন্ত যেতে যে পরিমাণ ব্যয় হয়, তা আহামরি কিছু নয়। কোম্পানিগুলো সে ব্যয় আরও কমিয়ে আনতে চায়। এতে করে হয়তো যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইউরোপে ছুটি কাটাতে যে ব্যয় হয়, তারচেয়ে কিছু বেশি অর্থে আপনি মহাকাশ থেকে ঘুরে আসবেন। সারা জীবন ধরে নিজের সন্তান, বন্ধু আর স্বজনদের বলার মতো গল্পের প্রাপ্তি তো বাড়তি পাওনাই।
[৪] আর এলন মাস্ক অবশ্য পর্যটন ব্যবসায়ী হতে চান না। তার স্বপ্ন মহাকাশের চেয়েও বড়। তিনি টেক্কা দিচ্ছেন নাসাকে, ইসাকে, ইসরোকে। তিনি নিজ স্বপ্নে সফল হতে শুরু করেছে। তার গ্রাহক বাংলাদেশের মতো উদিয়মান অর্থনৈতিক শক্তি, তার গ্রাহক নাসা। স্পেসএক্স এর ভবিষ্যত পরিকল্পনা আরও দূরে বিস্তৃত। তারা চায় মহাকাশে থাকা বিপুল পরিমাণ খনিজের কিছু অংশ হলেও উদ্ধার করা।
[৫] পৃথিবীতে নতুন ধরনের ব্যবসা আসার পথ যখন রুদ্ধ হয়ে গেছে বলে মনে করা হচ্ছিলো, তথনই নতুন পথ খুলে দিয়ে মহাকাশ। হয়তো একদিন এতো বিপুল পুঁজি লাগবে না, এখানে ব্যবসা করাও সহজ হয়ে যাবে। হয়তো সৌরজগতের বাইরের কোনো গ্রহ থেকে মহাকাশ জাহাজে করে পৃথিবীতে রপ্তানি হবে অজানা কোনো খনিজ দ্রব্য।