শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ১২ জুলাই, ২০২১, ০২:০৭ দুপুর
আপডেট : ১২ জুলাই, ২০২১, ০২:০৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] বাসাইলের ‘ঝিনাই নদী’ তীব্র ভাঙনের কবলে

আরিফুল ইসলাম: [২] টাঙ্গাইলের বাসাইলে গত এক সপ্তাহে ঝিনাই নদীর প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকায় হঠাৎ ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ১০-১৫টি ভিটাবাড়ি ও ফসলি জমিসহ বিস্তীর্ণ এলাকা বিলীন হয়ে গেছে। অনেকেই বাড়ি ঘর ভেঙে সরিয়ে নিচ্ছে নিরাপদ স্থানে। আবার অনেকেই শেষ সম্বল বসত ভিটে হারিয়ে হয়ে পড়ছে আশ্রয়হীণ।

[৩] ছাড়াও প্রায় ৫ শতাধিক পরিবার ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে পাকা সড়ক, খেলার মাঠ, হাট-বাজার, ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা। এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেবার দাবি ভুক্তভোগীদের। এখনই ব্যবস্থা না নিলে নদীগর্ভে বিলিন হবে বসতবাড়িসহ অনেক গুরুত্বপুর্ণ স্থাপনা। ছিন্নমূলের তালিকায় যোগ হবে এলাকার কয়েক হাজার মানুষ।

[৪] সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, উপজেলার নদী তীরবর্তী ফুলকি, কাশিল, কাঞ্চনপুর ও হাবলা ইউনিয়নের প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকার অন্তত ২০টি গ্রামে ইতোমধ্যে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে ফুলকি ইউনিয়নের দোহার, হাকিমপুর, জশিহাটি এবং একঢালা। কাশিল ইউনিয়নের দাপনাজোর, দেউলী, কামুটিয়া, নথখোলা, কাশিল, থুপিয়া, নাকাছিম ও বিয়ালা। কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের কাজিরাপাড়া, বিলপাড়া, মানিকচর ও আদাজান।
বিলপাড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ প্রধানমন্ত্রীর উপহার বীর নিবাস ভাঙন কবলে, যেকোনো মুহুর্তে বিলিন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

[৫] স্থানীয়রা বলেন, সারাবছরই ঝিনাই নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট বালু খেকোদের দখলে থাকে। ড্রেজার ও বেকু দিয়ে অবৈধ বলু উত্তোলনের সাথে থাকে প্রভাবশালীদের হাত। দায়সারা দু'একটি অভিযান ছাড়া প্রশাসনের ভূমিকাও রহস্যময়। প্রতি বছর নদী থেকে ব্যাপকহারে বালু উত্তোলনের কারণে ভাঙনের তীব্রতা বাড়ছে।কাঞ্চনপুর কাজিরাপাড়া এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত খুসরু খান জানান, আমার ভিটাবাড়ি যে টুকু ছিল, সবই নদীতে চলে গেছে। এখন পরিবার নিয়ে বসবাস করার মতো জায়গাটুকুও নেই।

[৬] ফুলকি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম বাবুল বলেন, ঝিনাই নদী তীরবর্তী দোহার, হাকিমপুর, জশিহাটি পশ্চিমপাড়া ও একঢালা এলাকায় আলকাছ, শামছু বাদশাসহ প্রায় ১০টি ভিটাবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও অনেক কৃষকের আদাবী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। তবে দোহার পয়েন্টে ভাঙন কবলিত বাধ সংস্কারের কাজ চলছে।

[৭] বাসাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম বলেন, নদী ভাঙন রোধে ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছে। গত বর্ষায় কামুটিয়া পয়েন্টে ভেঙ্গে যাওয়া ঝিনাই নদীরক্ষা বেরিবাধটি ৯৭ লাখ টাকা ব্যয়ে সংস্কার করা হচ্ছে। চলতি বছর চলতি সপ্তাহে দোহার পয়েন্টে ভাঙন মোকাবেলায় তাৎক্ষণিক কাজ শুরু হয়েছে।

[৮] এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড টাঙ্গাইলে নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছে, ভাঙন রোধে বিভিন্ন পয়েন্টে কাজ অব্যাহত আছে। নতুন করে ভাঙন কবলিত পয়েন্ট গুলোতে জরুরি ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রতি বছর অস্থায়ী ভাঙ্গনরোধে শুধু টাকাই অপচয় হচ্ছে। নদী ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী পরিকল্পনা নেয়া জরুরী। ইতোমধ্যে নদী ভাঙনের স্থায়ী প্রকল্প পাঠানো হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়