লিহান লিমা: [২] দুই দেশের সম্পর্কে নতুন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। চীন-উত্তর কোরিয়া বন্ধুত্বপূর্ণ পারস্পরিক সহযোগিতা ও সহায়তাবিষয়ক চুক্তি স্বাক্ষরের ৬০তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে উভয় নেতা এ অঙ্গীকার করেন। সিএনএ
[৩] শি জিনপিং বলেন, ১৯৬১ সালে চীন ও উত্তর কোরিয়ার প্রবীণ নেতাদের স্বাক্ষরিত সহযোগিতা চুক্তি মৈত্রী জোরদার ও বন্ধুত্বকে বেগবান করেছে। গত ৬০ বছরে দু’দেশ এ চুক্তির চেতনায় পরস্পরকে সমর্থন ও সহযোগিতা করে আসছে। নিজ নিজ দেশের সমাজতন্ত্র উন্নয়নের পাশাপাশি আঞ্চলিক এমনকি বৈশ্বিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করছে চীন ও উত্তর কোরিয়া। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মতৈক্য অর্জিত হয়েছে।
[৪] কিম জং উন বলেন, গত ৬০ বছরে উত্তর কোরিয়া ও চীন পরস্পরকে সমর্থন ও সহযোগিতা দিয়ে আসছে। এই চুক্তিতে দু’দেশের সুসংহত ও দৃঢ় মৈত্রী প্রতিফলিত হয়েছে। উত্তর কোরিয়া সমাজতন্ত্রের পথে চীনের সঙ্গে হাতে হাত রেখে সামনে এগিয়ে যেতে চায়।
[৫] রয়টার্স জানায়, ১৯৬১ সালে চুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকে উত্তর কোরিয়ার একমাত্র শক্তিশালী মিত্র দেশ চীন। পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির কারণে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞায় পর্যুদস্ত পিয়ংইয়ং বাণিজ্য ও অন্যান্য সহযোগিতার জন্য বেইজিংয়ের ওপর নির্ভরশীল। চীন-উত্তর কোরিয়ার মধ্যকার চুক্তিটির মেয়াদ ২০ বছরের। ১৯৮১ ও ২০০১ সালে দেশদুটি এটি নবায়ন করে, চলতি বছরও শি ও কিম পরবর্তী ২০ বছরের জন্য এর মেয়াদ বাড়িয়ে নেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।