শিরোনাম
◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের  ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন

প্রকাশিত : ১১ জুলাই, ২০২১, ০১:৩২ দুপুর
আপডেট : ১১ জুলাই, ২০২১, ০১:৪৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] সিরাজগঞ্জে ছেলেকে লুকিয়ে রেখে অপহরণ মামলা, এক বছর পর ভিকটিম উদ্ধার

সোহাগ হাসান: [২] ছেলেকে লুকিয়ে রেখে প্রতিপক্ষের নামে মিথ্যা অপহরণ মামলা দায়েরের এক বছর ২৮ দিন পর ভিকটিমকে উদ্ধার করেছে সিরাজগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

[৩] রোববার (১১ জুলাই) বেলা ১২টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মানিকুল ইসলাম বলেন, ২০২০ সালের ৪ জুলাই মাজেদা বেগম বাদী হয়ে তার ছেলে শাহীন আলম অপহরণের বিষয়ে প্রতিপক্ষ হোসেন আলী গংয়ের ৭ জনকে আসামী করে উল্লাপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন।

[৪] এর আগে শনিবার (১০ জুলাই) রাতে সিরাজগঞ্জ সদর থানার কড্ডার মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া ভিকটিম শাহীন আলম (২২) শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরী গ্রামের মো. হাসান আলীর ছেলে।

[৫] প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে ভিকটিমকে লুকিয়ে রেখে বাদীনী মিথ্যা মামলা দিয়ে আপোষের শর্তে আসামীদের নিকট টাকা দাবি করছেন। এ অবস্থায় চলতি বছরের ১৭ জুলাই মামলাটির তদন্তভার গোয়েন্দা পুলিশে দিলে এসআই খোকন চন্দ্র সরকার আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে কড্ডার মোড় এলাকা থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করেন।

[৬] সংবাদ সম্মেলনে ডিবি ওসি আরও বলেন, ভিকটিম শাহীন আলম ও স্বাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ ও অন্যান্য তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণে জানা যায়, শাহীন আলম তার দুই বন্ধা জহুরুল ও মিন্টুর সঙ্গে গাজীপুরে থাকতেন। ২০২০ সালের ১৪ জুন গাজীপুর থেকে তিন বন্ধুই নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। আসতে দেরি হওয়ায় তারা তিনজনই উল্লাপাড়া উপজেলার বড় লক্ষীপুর গ্রামের জহুরুলের বাড়িতে অবস্থান করে। এ সময় এলাকাবাসী তিনজনকে ইয়াবা ব্যবসায়ী সন্দেহ করে আটক করে তাদের চর-থাপ্পর দেয়ার পর জহুরুলের বাবা-মার জিম্মায় দেয়।

[৭] দুদিন পর শাহীন আলম তিন বন্ধুসহ নিজ বাড়ি কৈজুরীতে গিয়ে বাবা-মাকে এসব কথা বলে। এ অবস্থায় তার মা মাজেদা বেগম উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ছেলে শাহীন আলমকে লুকিয়ে রেখে উল্লাপাড়ার বড় লক্ষীপুর গ্রামের হোসেন আলীসহ ৭ জনকে আসামি করে থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন।

[৮] এ ঘটনায় বাদীনির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরর অভিযোগে মামলা হবে বলে জানান গোয়েন্দা পুলিশের ওসি। সম্পাদনা: হ্যাপি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়