নুরে আলম: [২] সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর মস্কোতে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেরগেই লাভরভের সঙ্গে বৈঠকের পর বলেন, দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমাদের কথা হয়েছে। তবে সব চেয়ে গুরুত্ব পেয়েছে আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি। আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য আফগানিস্তানে শান্তি ফেরানো অত্যন্ত জরুরি। সেখানে হিংসা থামানো সব চেয়ে জরুরি কাজ। এ এন আই
[৩] ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আফগানিস্তানে শান্তি ফেরাতে হলে ভারত এবং রাশিয়াকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। সে দেশে যে অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উন্নতি হয়েছে, তাকে নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না। স্বাধীন, সার্বভৌম, গণতান্ত্রিক আফগানিস্তানের প্রশ্নে আমরা দুই দেশই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সবার স্বার্থেই এই এলাকাগুলিতে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখা অত্যন্ত দরকার।
[৪] এএনআই’র খবরে বলা হয়, কান্দাহার ও মাজারের ভারতের কনস্যুলেটে অন্তত ৫০০ কর্মী কাজ করেন। কাবুলের ভারতীয় দূতাবাসেও রয়েছে বহু কর্মী। টালমাটাল পরিস্থিতিতে মোদি সরকারের কাছে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন বড় চ্যালেঞ্জ। ফলে আফগানিস্তানে কর্মরত ভারতীয় নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নিচ্ছে দিল্লি।
[৫] এর আগে গত ১ জুলাই কাবুলের ভারতীয় দূতাবাস ভারতীয় নাগরিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে এক বিবৃতিতে বলে, সশস্ত্র সংগঠনগুলো আফগানিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালাচ্ছে। তাদের নিশানায় রয়েছে সেনাবাহিনী, সরকারি দপ্তর ও সাধারণ মানুষ। এসব ঘটনা থেকে ভারতীয় নাগরিকরা ছাড় পাবেন বলে ভাবার কোনো কারণ নেই। বিশেষ করে অপহরণের ভয় রয়েছে। তাই আফগানিস্তানে কর্মরত বা ভ্রমণরত যাওয়া ভারতীয় নাগরিকদের অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে।