লিহান লিমা: [২] প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোইসির হত্যার পর বন্দর, বিমানবন্দর ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থান এবং অবকাঠামোর সুরক্ষায় ওয়াশিংটন ও জাতিসংঘের কাছে সৈন্য পাঠানোর অনুরোধ করেছে হাইতি।গার্ডিয়ান
[৩]হাইতির নির্বাচন মন্ত্রী মাথিয়াস পিয়ারে বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি ভাড়াটে গুÐারা দেশের অবকাঠামোগুলো ধ্বংস করতে পারে এবং দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতিসংঘের কাছে আমাদের সাহায্য করার জন্য অনুরোধ করেছি। ’
[৪]মার্কিন পররাষ্ট্রদপ্তর ও পেন্টাগন জানিয়েছে খুব শীঘ্রই হাইতিতে নিরাপত্তা ও তদন্ত সহযোগিতা পাঠানো হবে। তদন্তের জন্য এফবিআইএর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের পাঠানোর আশ্বাস দিলেও সৈন্য পাঠানোর বিষয়ে এখনো কিছু জানায় নি বাইডেন প্রশাসন। জাতিসংঘ এখনো কোনো মন্তব্য করে নি।
[৫]এর আগে ১৯১৫ সালে হাইতির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ভিলব্রান গুইলাউমি স্যামকে ফ্রান্সের দূতাবাসের সমানে গণহামলায় নিহত হওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন দেশটিতে নৌ-বাহিনী প্রেরণ করেন। তখন প্রায় দুই দশক মার্কিন সেনা দেশটিতে ছিলো।
[৬]গত বুধবার হাইতির প্রেসিডেন্ট মইসির ভবনে হামলা চালিয়ে প্রেসিডেন্টকে হত্যা করা হয়। মইসির বিরুদ্ধে দেশটিতে কয়েকবার বিক্ষোভ হয়েছিলো। পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ২৮জন বিদেশী সৈন্য নিহত হন, গ্রেপ্তার হন ১৭জন। এদের মধ্যে রয়েছেন ২ জন মার্কিন ও ১৫জন কলম্বিয়ান নাগরিক। এই হত্যাকাÐ ইতোমধ্যেই সংঘর্ষপূর্ণ আমেরিকা মহাদেশের এই দরিদ্র দেশটিকে আরো অস্থিতিশীল করে ফেলেছে। ঘটনার পরপরই ১৫দিনের জরুরী অবস্থা জারি করা হয়। অন্তবর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন ক্লদে জোসেফ।
[৭]১ কোটি ১০ লাখ জনসংখ্যার দেশ হাইতির ৫৯ ভাগ মানুষই দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করেন। ২০০৪-১৭ পর্যন্ত হাইতিতে জাতিসংঘ শান্তিবাহিনী ছিলো।
আপনার মতামত লিখুন :