শিরোনাম
◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত ◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১০ জুলাই, ২০২১, ০২:৫২ রাত
আপডেট : ১০ জুলাই, ২০২১, ০৪:২৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ডেঙ্গু জ্বর-করোনার লক্ষণ এক হলেও পার্থক্য বুঝবেন কিভাবে?

নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমণ এবং মৃত্যু যখন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ঠিক তখনই ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব দেখা দিচ্ছে। এই প্রবণতা এখনো পর্যন্ত ঢাকা শহরের মধ্যেই বেশি দেখা যাচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ হিসেবে দেখা যাচ্ছে, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ১৫১ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।

চিকিৎসকরা বলছেন, একজন ব্যক্তি একই সাথে করোনা এবং ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হতে পারেন। মশা নিধনের কার্যক্রম জোরদার করতে না পারলে পরিস্থিতি গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা।

বাংলাদেশে জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়। চিকিৎসকরা বলছেন, কিছু লক্ষণ এবং উপসর্গ আছে যেগুলা শুরুর দিকে ডেঙ্গুজ্বর এবং কোভিড ১৯-এর ক্ষেত্রে একই রকম। সেক্ষেত্রে অনেক রোগীকে ডেঙ্গু জ্বর এবং কোভিড১৯- দুটোর পরীক্ষা একসাথে করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক শর্মিলা হুদা বলেন, ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত বেশিরভাগ রোগীর জ্বর, গায়ে ব্যথা, মাথা ব্যথা এবং চোখের পেছনে ব্যথা থাকে। সাধারণত এ ধরণের লক্ষণ থাকলে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় না, কারণ হাসপাতালগুলো এখন কোভিড রোগীতে পরিপূর্ণ।

তবে পরিস্থিতি যদি জটিলতার ইঙ্গিত দেয় তাহলে হাসপাতালে ভর্তি হতেই হবে। সেক্ষেত্রে অন্য কোন বিকল্প নেই।

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ বলেন, ডেঙ্গুজ্বর এবং কোভিড১৯- দুটোই ভাইরাসজনিত রোগ হলেও দুটোর মধ্যে কিছু পার্থক্য আছে। আবার একই রোগী কোভিড ও ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হতে পারেন। দুইটার ক্ষেত্রেই জ্বর, গলা ব্যথা, সর্দি, কাশি এবং স্বাদ না থাকা হতে পারে। করোনার ক্ষেত্রে এসব লক্ষণের সাথে নাকে ঘ্রাণ পাওয়া যায় না এবং কারো কারো পাতলা পায়খানা হয়।

এছাড়া করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট-জনিত সমস্যা হতে পারে, যেটি ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে হয় না বলে উল্লেখ করেন অধ্যাপক আবদুল্লাহ।

চিকিৎসকরা বলছেন, ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চার-পাঁচদিন পরে শরীরে লাল অ্যালার্জির মতো র‌্যাশ হতে পারে। তখন রক্তে প্ল্যাটিলেটের মাত্রা কমে যেতে পারে।

ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে ‘শক সিন্ড্রোম’ হতে পারে যেটি রোগীর মৃত্যুর কারণ হয়। কিছু লক্ষণ আছে যেগুলো থাকলে রোগীকে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। সেগুলোর মধ্যে যদি দেখা যায় যে রোগীর নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে। অথবা তার কালো পায়খানা হচ্ছে।

শর্মিলা হুদা বলছেন, গুরুতর ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে নারীদের মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তচাপ কিংবা হঠাৎ করে মাসিক হতে পারে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জমে থাকার বৃষ্টির পানিতে এডিস মশার বংশ বিস্তার হয়, যেটি ডেঙ্গু জ্বরের জন্য দায়ী। ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ করার জন্য একমাত্র উপায় হচ্ছে এডিস মশার বংশ বিস্তার রোধ করা। এটি করতে না পারলে চিকিৎসা দিয়ে কুলানো সম্ভব হবে না বলে সতর্ক করে দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

তবে ঢাকা শহরের অনেক বাসিন্দার অভিযোগ হচ্ছে, মশা নিধন করার কোন কার্যক্রম চোখে পড়ে না। মশা নিধন করার দায়িত্ব হচ্ছে সিটি করপোরেশনগুলোর।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমান বলেন, এডিস মশার লার্ভা ধ্বংস করার জন্য গত বছর সেসব বাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হয়েছিল তাদের একটি তথ্যভাণ্ডার রয়েছে।

সেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে চলতি বছর এপ্রিল মাসে মোবাইল ফোনে বার্তা পাঠিয়ে সতর্ক করে বলা হয়েছে, চলতি বছরও যদি তাদের স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়, তাহলে গতবারের চেয়ে বেশি জরিমানা করা হবে।

এ ধরনের এক হাজার সাতশ বার্তা পাঠানো হয়েছে বলে জানান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।

তিনি দাবি করেন, তাদের আওতাধীন এলাকায় সপ্তাহে দুইদিন মশার ওষুধ ছিটানো হয় এবং একই সঙ্গে বিভিন্ন এলাকার মানুষের জন্য নানা ধরনের সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, এডিস মশার বংশ বিস্তার ঠেকাতে বিভিন্ন স্থাপনায় যাতে বৃষ্টির পানি জমে না থাকে সেজন্য শুক্রবার থেকে ঢাকায় ২০টি মোবাইল টিম কাজ শুরু করবে। সূত্র : বিবিসি বাংলা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়