মোঃআদনান হোসেন: [২] আলো-বাতাস না পেলে, নিয়মিত খাবার না দিলে, খাঁচা পরিষ্কার না করলে একটা পর্যায়ে পাখি মারা যায়।তাই পাখি গুলোকে বাচাতে বাধ্য হয়ে নিয়মিত খুলতে হয় পশু পাখির দোকান।
[৩] বলছিলাম ধামরাই থানার পাশে রাকিবুল ইসলাম রাকিব(৩৫)এর কথা। ছোটবেলা থেকেই পাখি পোষাটা ছিলো শখ। বড় হইয়ে বিয়ের পরও বিভিন্ন পাখি পোষতেন মোঃ রকিবুল ইসলাম রাকিব (৩৫)। বিয়ের পর স্ত্রী রোকায়া আক্তারের মাঝেও খোঁজে পেলেন নিজের এই শখটি। স্বামী-স্ত্রী মিলেই বাসায় পাখি পোষতেন। তার পর হঠাৎ করেই এই শখটিই পেশায় পরিবর্তন করে ফেলেন রাকিব ও রোকেয়া দম্পতি।
[৪] এই দম্পতি দেড় লক্ষ টাকা পুঁজি নিয়ে ধামরাই থানার পাশেই মা পাখি ঘর নামে একটি দোকান দিয়েছেন। যেখানে কবুতর লক্ষা, শিরাজী, রেসার, গিরিবাজ, ট্রামপোর্টার বুখরা, কাঘজি, হুমা জাতির কবুতর ও লাব্বাক, বাজরিগার, মুনিয়া, কোকাতেল, টিয়া, কুয়েল, বিভিন্ন রঙ্গের ঘুঘুসহ নানান জাতির পাখি তুলেছেন এই দোকানে। পাখি ছাড়াও পাখির খাঁচা ও সব ধরনের খাবারও বিক্রি করেন মা পাখি ঘরে।
[৫] পাখি কিনতে আসা হুমায়ুন রশীদ জানান,আমার মেয়ের জন্য একটি টিয়া পাখি কিনতে আসছি। লকডাউনের কারণে স্কুল বন্ধ রয়েছে। আবার বাহিরেও বেশি বের হতে দেই না। তাই বায়না ধরেছে তাকে একটি পাখি কিনে দিতে হবে এখানে নতুন দোকান হয়েছে শুনেই পাখি কিনতে আসলাম।
[৬] পাখি পছন্দ করে না পৃথিবীতে এমন লোক খুব কমই আছে, আর একটা গুলি পাখি একসাথে দেখলে কার না মন ভালো হবে।কিন্তু লকডাউন এর সবই যেন স্থির হয়ে গেছে।
[৭] রকিবুল ইসলাম রাকিব একটি কারখানায় চাকরি করাতে পাখি বিক্রির কাজটি স্ত্রী রোকােয়া আক্তারই করেন। মা পাখি ঘরে ৬শত থেকে ৬ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যায় বিভিন্ন জাতির পাখি। আর ১৫০ টাকা থেকে ১৬ শত টাকার মধ্যে বিক্রি করেন পাখির খাঁচা। এখানে পাখির ঔষধ ভিটামিনসহ প্রায় ২০ প্রকারের খাবারও বিক্রি করা হয়।
[৮] রোকেয়া আক্তার জানান, আমার বিয়ের পর থেকেই দেখেছি আমার স্বামীর পাখি পোষা খুব শখ। আমারো ভালো লাগে পাখি পোষতে। আমাদের বাসাতেই কয়েক বছর ধরে পাখি পোষা হয়। পাখির প্রতি আমাদের একটা অন্যরকম টান হয়ে গেছে। আমি বাসায় এমনিতেই বসে থাকি। পরে দুজনের পরামর্শেই এই পাখির দোকান দেয়া হয়েছে। আমার স্বামী চাকরি করেন। যার জন্য আমিই এই পাখি বিক্রির কাজটি করি। এটা করে আমারো খুব ভালো লাগে। পাখিদের কিচিরমিচির শব্দ সারাক্ষণ কানে বাজে। কিন্তু লকডাউন এর সময় লোকজন কম থাকায় পাখিদের মুখ ভার হয়ে আছে।
[৯] রকিবুল ইসলাম রাকিব জানান, ছোটবেলা থেকেই পাখি পোষা আমার শখ ছিলো। তখন থেকেই আমি পাখি পোষা শুরু করি। বিয়ে পরও পাখি পোষা বাদ দেইনি। সেই শখ থেকেই এখন একটি দোকান। শখের বসে দোকান দিলেও সেই দোকান থেকে এখন মাসে ১৫-২০ হাজার টাকা আয় হচ্ছে। ধামরাই থানার পাশে পাখি বিক্রির দোকান দিয়েছি ৩ মাস হয়। দোকান দেয়ার পর প্রতি মাসেই এক থেকে দেড় লক্ষ টাকার পাখি ও খাবার বিক্রি হচ্ছে। আর এতে সর্বনিম্ন ১৫-২০ হাজার টাকা আমার প্রতি মাসে লাভ হচ্ছে। লকডাউনের কারণে ঢাকায় যেতে পারিনা সব কিছু যেন থমকে গেছে।
আপনার মতামত লিখুন :