শিরোনাম
◈ অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি  ◈ ইসরায়েল পাল্টা হামলা করলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে ইরান: উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ মিয়ানমারের আরও ১০ সেনা সদস্য বিজিবির আশ্রয়ে ◈ সয়াবিনের দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত বিএনপির ◈ কেউ যেন নিরাপত্তাহীনতায় না থাকি, আইনের শাসনে জীবনযাপন করি: ড. ইউনূস ◈ মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে নিয়ে ঢাকা ফিরছিলেন রফিক, পথে প্রাণ গেল সবার ◈ স্থায়ী জামিন না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছি: ড. ইউনূসের আইনজীবী ◈ উপজেলার ভোটে এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ না করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ : ওবায়দুল কাদের  ◈ শ্রম আইন লঙ্ঘন: ড. ইউনূসসহ ৪ জনের জামিন ২৩ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি

প্রকাশিত : ০৯ জুলাই, ২০২১, ০৩:৪১ দুপুর
আপডেট : ০৯ জুলাই, ২০২১, ০৫:১৪ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] বদলে যাচ্ছে আমাদের জানা বিশ্বায়ন

আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] প্যারিস, এই শহরটি দশকের পর দশক ধরে বিশে^র অধিকাংশ মানুষের কাছে বিশ্বায়নের অপর নাম। বিশেষত গত শতকের ৮০’র দশক থেকে ফরাসি সরকার পন্য, সেবা, পুঁজি এবং তথ্যের কোনও সীমান্ত রাখেনি। এই খাতগুলোতে সরকারি নিয়ন্ত্রণও ছিলো খুব সামান্যই। ফলে বাজারকেন্দ্রীক পুঁজিব্যবস্থা ফুলেফেঁপে উঠেছে। আর ফ্রান্সের অর্থনীতি সারা বিশে^র উপর ছড়ি ঘুরিয়েছে। ব্রাঙ্কো মিলানোভিচ এই পরিস্থিতি বর্ণনায় আর শেষ বইতে বলেছেন, অবশেষে পুঁজিবাদ একা হতে পেরেছিলো। প্রজেক্ট সিন্ডিকেট

[৩] বিশ্বায়নের সঙ্গে অবশ্য বাজারকেন্দ্রীক পুঁজিব্যবস্থার খুব সামান্য যোগই আছে। বিজ্ঞান ও তথ্যের বিশ্বায়ন সেগুলোকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দিতে ভুমিকা রেখেছে। সারা বিশ্বের জলবায়ু আন্দোলনকর্মী ও মানবাধিকারকর্মীরা এখনকার মতো আর কখনোই একতাবদ্ধ ছিলেন না। এরইমধ্যে সরকারগুলো ভাবছে নীতিমালার বিশ্বায়ন বাজারের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভারসাম্যের জন্ম দিতে পারে।

[৪] তবে বিশ্বায়নের এই দিগুলো তখনই অর্থনৈতিক মাপকাঠিতে ফেলা হয়নি। একারণেই নীতিমালার বিশ্বায়ন সবসময়ে হতাশারই জন্ম দিয়েচে। ২০০৮ সালে মহামন্দা প্রমাণ করেছিলো, সরকারগুলো কি ভায়াহভাবে ব্যর্থ হয়েছে।

[৫] বিশ্বায়নের এই ধাপ শেষ হয়ে আসছে, দুটি কারণে। প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য জলবায়ু সঙ্কট। কোনও সন্দেহ ছাড়াই বলা যায় বিশ্বের সবার জন্যই এই দুটি হুমকি বিরাজমান আছে। কিন্তু সারা বিশ্ব একযোগে এই দুই সঙ্কট মোকাবেলায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে এমন উদাহরণ নেই।

[৬] পরের কারণটা অনেক বেশি রাজনৈতিক। সারা বিশ্বে জনব্রিদােহ নতুন কিছু নয়। ব্রেক্সিট, ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরাজয়, ফ্রান্সের ইয়োলো ভেস্ট আন্দোলন, আমরা অনেকবারই এমনটা দেখেছি। বৈশ্বিক সাধারণ জনতার একটি নির্দিষ্ট ও একক দায়িত্ব আছে, সে ব্যাপারে সবাই একমত। কিন্তু তারা অবশ্যই কোনও একটি বিষয়ে একমত হতে পারবেন না। রহুরাম রাজন এই বিষয়ে বলেছিলেন, ‘আমার পৃথিবী উচ্চমধ্যবিত্তের জন্য স্বর্গে পরিণত হয়েছে। যেখানে শুধু সফলদের সন্তানরাই সফল হতে পারে।’ যারা এই নির্বান লাভে সক্ষম হয়না, তারা আজীবনই টিকে থাকার লড়াই চালিয়ে যায়। গুটিকতক হয়তো সফলও হয়। কিন্তু বেশিরভাগে সময়ের চোরাবালিতে হারিয়ে যায়। তারা কখনও এক হতে পারেন না। ফলে হারিয়ে যায় একটি একক বিশ্বের স্বপ্ন।

[৭] বিশ্বায়ন আর পুঁজিবাদ কেন্দ্রীক নয়। বিশ্বায়ন এখন অনেক বেশি পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট। সাধারণ মানুষ তা বোঝে না। আর যারা বোঝেন, তারা বিশ্বায়নের মাঝেও একক অর্থনৈতিক কর্তৃত্ব চান। পুঁজিবাদ তাদের সেটি খুব ভালোভাবে শিখিয়েছে। কিন্তু আমাদের চেনা পৃথিবীর গল্প বদলে গেছে। নতুন পৃথিবীর গল্প তারা জানেন না, কিংবাি জানতে চাননা। নতুন পৃথিবী অনেক বেশি অভ্যন্তরীন বৈশ্বিক । মনে মনে এই পৃথিবীর সবাই একক সত্ত্বা। কিন্তু কাঠামোগতভাবে সবাই আলাদা। এই পৃথিবীর সবাই অন্যের জাতীয়তাবাদ দেখে বড় হচ্ছে। ফলে হু হু করে বাড়ছে নিজের জাতীয়তাবাদ। এই পৃথিবী এক হয়েছে। এই এক হওয়া তাকে একা করেছে, একক করেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়