শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ০৯ জুলাই, ২০২১, ১২:৩৯ রাত
আপডেট : ০৯ জুলাই, ২০২১, ১২:৩৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শুভ কামাল: মুজিব জন্মশতবর্ষের আধা-পাকা বাড়ি ভেঙে পরার ঘটনায় সম্ভবত আমরা ভুল মানুষকে দুষছি!

শুভ কামাল: মুজিব জন্মশতবর্ষের আধা-পাকা বাড়ি ভেঙে পরার ঘটনায় সম্ভবত আমরা ভুল মানুষকে দুষছি। এখানে মূল কোপে পরেছেন ইউএনওরা, আমি নিজেও তাদের প্রশ্নবিদ্ধ করে বিষবাণে বিদ্ধ করেছি। কিন্তু এই প্রকল্পের গোড়াতেই আসলেই গলদ রয়েছে, গলদ রয়েছে পরিকল্পনায়। প্রথমে আসুন দেখি পরিকল্পনায় কী আছে। একটি আধাপাকা বাড়ি যার সামনে বারান্দা, পেছনে পাকা রান্নাঘর। সাথে দুই বেডরুম, টয়লেট। ওপরে টিনের চাল, সেই চাল হচ্ছে আবার আবুল খায়েরের ৩৬ এম এম রঙ্গিন ঢেউটিন।

এবার আসুন দেখি এই প্রকল্পে বরাদ্দ কতো দেওয়া হয়েছে। শেরপুর জেলায় ১৬৩টা এমন বাড়ি বানানোর জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ বাসাপ্রতি বরাদ্দ ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। এবার পার্স্পেক্টিভ বোঝার জন্য একটা হিসাব দিই। হবিগঞ্জে আমাদের বাসার যে ছবি সেদিন পোস্ট করেছিলাম সেই ৩ তালা বাসা বানাতে আমাদের খরচ হয়েছে আড়াই কোটি টাকার বেশি। আর এদিকে ১৬৩টা পাকা বাসা বানানোয় বরাদ্দ ২ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। আর কিছু কি বুঝিয়ে বলার দরকার আছে? যতো গুড় ততো মিষ্টি। এই বাসার প্ল্যানিংয়ে কোন ভিটা, ফাউন্ডেশন, আরসিসি পিলার কিংবা রড নেই। বানানো হইছে নিচা জায়গায়, কিংবা অসমতল জায়গায়, উপরন্তু বাস্তবায়নে তাড়াহুড়া করা হয়েছে। সম্পূর্ণ সৎভাবে এই প্রজেক্ট করলেও এই বিল্ডিংগুলা ভেঙেই পরার কথা।

আমি কি আমলাদের দায়মুক্তি দিচ্ছি? না। দোষ তাদেরই যেহেতু প্ল্যানিং তারাই করেছেন। কিন্তু প্ল্যানিং করেছে ওপরের দিকের কর্মকর্তারা, এর জন্য নবীন ইউএনওদের দোষ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই! তবে হ্যাঁ, অনেক ইউএনও টাকা খেয়ে ঘর বরাদ্দ দিয়েছে, তাদেরই মূলত ধরা হচ্ছে এবং ধরা হবে। এদের সাইজ করতেই হবে। চাকরির এই পর্যায়েই যদি এমন দুর্নীতি করে তাহলে এরা যেন আর উপরে না যায় তার ব্যবস্থা করতে হবে। ঘাড়াইতে হবে প্রকল্প পরিচালককে। এসব তেলবাজ আমলারাই হিরো হওয়ার জন্য উলটাপালটা সংখ্যার হিসাব দেয়, এজন্যেই প্রজেক্ট ফেইল করেছে। যে টাকা মোট বরাদ্দ ছিলো তা দিয়ে সহজেই অর্ধেক লোককে ভালো ঘর দেওয়া যেতো। নতুন প্রজন্মে আমলা হিসেবে অনেক স্মার্ট লোক ঢুকছে! আমি বিশ্বাস করি এই প্রজন্মের আমলারা ওইসব প্রবীণদের চেয়ে সৎ। বাংলাদেশে দুর্নীতি নরমালাইজ হয়েছে ওইসব আমলাদের আমলেই! ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়