আফরোজা সরকার: [২] করোনাকালে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিতদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া বিশেষ প্রণোদনা থেকে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন। দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশেষ প্রণোদনা অর্থ দেওয়ার দাবিতে হাসপাতালে বিক্ষোভ করেছেন নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন। ঘেরাও করে রেখেছিল হাসপাতালের পরিচালকের কার্যালয়।
[৩] দুপুরে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতাল পরিচালকের কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করে নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন। এনিয়ে হাসপাতালের উপপরিচালকের সঙ্গে দেখা করে দাবির কথা জানান বিক্ষুদ্ধরা। পরে প্রণোদনার বিষয়ে আশ্বস্ত হয়ে কাজে ফিরে যান নার্সরা।
[৪] বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময় থেকে তারা নিরবচ্ছিন্ন ভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। সরকার স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। প্রণোদনার সেই টাকা হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মচারীরা পেয়েছে। কিন্তু নার্সদের কাউকে দেওয়া হয়নি। কেন পাচ্ছেন না, তাও জানায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
[৫] সেখানকার নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফোরকান আলী বলেন, করোনাকালে স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিতদের সরকার বিশেষ প্রণোদনা বরাদ্দ করেছে। আমরাও সেই তালিকায় আছি। কিন্তু সবাই প্রণোদনার টাকা পেলেও আমাদের দেওয়া হয়নি।
[৬] তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে হাসপাতালের ২৪২ জন চিকিৎসকের সবাই প্রণোদনা পেয়েছেন। কর্মচারীরাও প্রণোদনার টাকা নিয়েছে, কিন্তু আমাদেরকে এখন পর্যন্ত একটি টাকাও দেওয়া হয়নি। অথচ আমরা সব থেকে বেশি সেবা দিচ্ছি। আর আমরাই বেশি বঞ্চিত।
[৭] অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, উপপরিচালক স্যার আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে নাকি প্রণোদনার টাকা দেওয়া হবে। যদি আমরা প্রণোদনার বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত হই, তাহলে ধর্মঘটে যাব। কারণ আমরা কেন টাকা পেলাম না, তা আমাদের বলা হচ্ছে না।
[৮] এ ব্যাপারে রমেক হাসপাতালের পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, বিক্ষুদ্ধদের দাবির বিষয়টি আমি শুনেছি। এনিয়ে আমি মন্ত্রণালয়ে কথা বলেছি। সবাই যেহেতু প্রণোদনা পেয়েছে, তারাও পাবে। তবে কোনো কারণে হয়তো গ্যাপ হয়েছে।
[৯] তিনি আরও বলেন, মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি অবগত করার পর আমি তাদের আশ্বস্ত করেছি। এখন নার্সরা হাসপাতালে কাজে যোগ দিয়েছেন। তারা কাজ করছেন। আশা করছি দ্রুত প্রণোদনার বরাদ্দ মিলবে। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :