শিরোনাম
◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও

প্রকাশিত : ০৮ জুলাই, ২০২১, ০১:৫১ রাত
আপডেট : ০৮ জুলাই, ২০২১, ০১:৫১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাশিদ রিয়াজ: ফ্রান্সে গৃহকর্মীদের নির্যাতনের তদন্ত, যুবরাজের সৌদি খাসিলত এবং জবাবদিহিতার অভাব

রাশিদ রিয়াজ: গৃহকর্মী হিসেবে বিভিন্ন দেশের গরিব নারীদের সৌদিরা কাজে নিয়োগের পর কি অকথ্য নির্যাতন চালায় একমাত্র ভুক্তভোগী ছাড়া তা কেউ বলতে পারে না। এবার ফ্রান্সে এক সৌদি যুবরাজের বিরুদ্ধে গৃহকর্মীদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে দেশটির পুলিশ। অপ্রকাশিত নামের এই যুবরাজ ৭ জন নারী গৃহকর্মী নিয়ে প্যারিস বেড়াতে যান। সঙ্গে তার পরিবারও যায়। মাসে ৩শ ইউরো দেওয়া হতো এসব গৃহকর্মীর প্রত্যেককে। তাদের অধিকাংশ ফিলিপিনো। বয়স ৩৮ থেকে ৫১ বছর। মেঝেতে ঘুমাতে দেওয়া হতো। খাবার দেওয়া হতো না ঠিকমতো। দিন রাত ২৪ ঘণ্টা পরিশ্রম করতে হতো। খেতে বসলেও ডাক পড়লে খাওয়া রেখেই হুকুম তামিল করতে হতো। এসব সহ্য করতে না পেরে তারা পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে তদন্ত শুরু হয়েছে। সৌদি যুবরাজ এখন ফ্রান্সে নেই বলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারছে না পুলিশ। যুবরাজ এবং তার পরিবার নিয়মিতভাবে গ্রীষ্মে ফ্রান্স ভ্রমণ করতে যান। যুবরাজের চার সন্তানকে দেখভাল করতে যেয়ে গৃহকর্মীরা খাবার সময় পর্যন্ত পেতেন না। তাদের বছরের পর বছর কোনো সাপ্তাহিক ছুটি বা অতিরিক্ত কাজের জন্যে কোনো ওভারটাইম দেওয়া হতো না। বিভিন্ন ধরনের অপমান ও হয়রানি ছিলো নিত্যনৈমিত্তিক। তবে এটি অস্পষ্ট যে সৌদি যুবরাজের কূটনৈতিক দায়বদ্ধতা রয়েছে কিনা, কারণ তা থাকলে ফ্রান্সের পুলিশ সম্ভবত তাকে গ্রেপ্তার করতে বা অভিযোগ দায়ের করতে সক্ষম হবে না।

শুধু ফিলিপিনো কেন, বছরের পর সৌদি নাগরিকদের হাতে এভাবে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত, নেপাল, ইন্দোনেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের গৃহকর্মীরা নির্যাতনের শিকার হলেও তারা এসব দেশে রেমিটেন্স হিসেবে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার পাঠায় বলে এ নিয়ে কোনো স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থা কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। সৌদি সরকারও এ নিয়ে আশ^াস দেওয়া ছাড়া কোনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে না। গরিব, অসহায়, হাভাতে ঘরের এসব মেয়েরা কখনো কখনো সৌদি নাগরিকদের লালসা শিকার হতে হয়। এ নিয়ে কোনো ধর্মীয় নেতা বা আলেমরা কিছু বলেন না। ঘর থেকে বের করে দিলে না খেয়ে রাস্তায় দিনের পর দিন গুজরান করার পর স্বদেশি কারো সহায়তায় তারা সর্বস্ব খুইয়ে নিঃস্ব হয়ে ঘরে ফেরে, কখনো কখনো কফিন বন্দী লাশ হয়েও। মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশেও একই ধরনের নির্যাতনের চিহ্ন পাওনা হয়ে থাকে এসব গৃহকর্মীদের বরাতে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়