তাসনিম জারা: ‘লকডাউনে কাজ বন্ধ, সন্তানদের খাবার দিতে না পেরে বাবার আত্মহত্যা’ শিরোনামে একটা রিপোর্ট আজকে এসেছে। মৃতব্যক্তির স্ত্রী বলেন, ‘লকডাউনে কাজ ছিলো না। ঘরে বাজার-সদাই কিছুই নেই। পুলাপাইনরে খাওয়াইতে পারছিলাম না। সংসারে অভাব দেইখা মনে করছে পুলাপাইনরে খাওয়াইতে পারি না, বাইচা থাইকা কী করুম। উনি তো মইরা গেছে, আমি কি করুম? লকডাউন খুললে কাজ করে আমাদের খাওয়াইতে পারতো। আমি তো তাও পারুম না।’
এর চেয়ে হৃদয়বিদারক সংবাদ আর কী হতে পারে? লকডাউন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে দরিদ্র মানুষের অর্থ সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে। বাসায় নিজেকে আটকে রাখার মাধ্যমে একজন মানুষ শুধু নিজেকে সুরক্ষিত রাখে না, তিনি সমাজের সকলকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করেন। তার এই ত্যাগটা শুধু নিজের জন্য নয়, সকলের জন্য। যে মানুষটা দিন আনে দিন খায়, সে যখন বাসায় নিজেকে আটকে রাখছে অন্য সকলকে সুরক্ষিত রাখার জন্য, তার আর্থিক কষ্ট লাঘব করা কি আমাদের দায়িত্ব নয়?
এবার আসি করোনা পরীক্ষার খরচ নিয়ে নিয়ে। করোনা লক্ষণ দেখা দিলে আমরা তাকে টেস্ট করতে বলি। এই কাজটাও শুধু নিজের উপকারে নয়, অন্যকে সুরক্ষিত রাখার জন্য। কেউ টেস্ট করে করোনা নিশ্চিত না হলে হয়তো অন্য মানুষের সঙ্গে মিশতে থাকবে। এতে অন্যকে করোনা আক্রান্ত করার সম্ভাবনা থাকবে। করোনা টেস্টের উপকারিতা যেহেতু সকলের, এই খরচটা তাই আমাদের সকলের অর্থাৎ সরকারের বহন করা উচিত।
আরেকটা সংবাদে দেখেছি যে করোনার শুরুতে যারা অন্যকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসতো, তারাও আর এগিয়ে আসছে না। আপনাদের যাদের সামর্থ্য আছে, অনুগ্রহ করে আপনার আশেপাশের মানুষকে সাহায্য করুন। সবাই মিলে নিরাপদে থাকতে না পারলে কেউ নিরাপদ নয়। ভাইরাস ছড়াতে থাকবে। নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্টের সৃষ্টি হবে। হাসপাতালে হয়তো সিট মিলবে না। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :