গোলাম সারোয়ার: [২] আশুগঞ্জ উপজেলার মেঘনার বুকে শত বছর আগে জেগে ওঠা গ্রাম চরসোনারামপুর। এখানে বসবাস করে প্রায় দুই সহস্রাধিক লোক। তাদের অধিকাংশেরই পেশা নদী থেকে মাছ ধরা। গত ২-৩ বছরের অব্যাহত ভাঙনে এই চর সোনারামপুরের শতশত একর জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
[৩] দিন দিন কমে আসছে চরের সীমারেখা। মেঘনা নদীতে অপরিকল্পিত ড্রেজিংয়ের ফলে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হচ্ছে। ফলে পানির প্রবল স্রোতে চরসোনারামপুরে ব্যাপক ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন এই চরবাসী। এভাবে ভাঙতে থাকলে একদিন পুরো চরই নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
[৪] সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চরের পূর্ব পাশ দিয়ে ব্যাপক ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। গত ২-৩ বছরের ভাঙনে ইতোমধ্যে ঐতিহ্যবাহী এ চরের প্রায় এক কিলোমিটার নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ক্রমেই পানির ধাক্কায় খসে পড়ছে তীর ও রক্ষা বাঁধের ঢালাইয়ের ব্লক। ভাঙনের পাশেই আশুগঞ্জ-সিরাজগঞ্জ ২৩০ কেভি জাতীয় গ্রিডলাইনের রিভার ক্রসিং টাওয়ার। এতে জাতীয় গ্রিডলাইনের বৈদ্যুতিক এই টাওয়ারটিও ঝুঁকির মুখে পড়েছে। এতে রীতিমতো আতঙ্কে দিন কাটছে চরবাসীদের।
[৫] এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে জাতীয় গ্রিডলাইনের এই টাওয়ার ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
[৬] এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরবিন্দ বিশ্বাস জানান, ইতিমধ্যে আমরা ভাঙনস্থল পরিদর্শন করেছি। ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীরা ভাঙন পরিদর্শন করেছেন। ভাঙন রোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এছাড়া নদীতে অবৈধভাবে কোনো ড্রেজিং করা হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা। সম্পাদনা: মাহামুদুল পরশ
আপনার মতামত লিখুন :