মনিরুল ইসলাম: [২] উপমহাদেশের কিংবদন্তি অভিনেতা দিলীপ কুমার। তাঁর মৃত্যুতে ভারতের অভিনয়শিল্পী ও নির্মাতাদের টুইটার ও ফেইসবুক পেইজ ভরে ওঠেছে শোকবার্তায়।
[৩] তাঁর মৃত্যুকে আরেক জীবন্ত কিংবদন্তি অমিতাভ বচ্চন বর্ণনা করেছেন ‘একটি যুগের অবসান’ হিসেবে।
[৪] অমিতাভ বচ্চন এক টুইটে লিখেছেন, ‘একজন প্রতিষ্ঠান চলে গেলেন। ভারতীয় চলচ্চিত্রে ইতিহাস লিখতে গেলে ‘দিলীপ কুমারের আগে’ ও ‘দিলীপ কুমারের পরে’ আলাদা অধ্যায় লিখতে হবে। তার আত্মার শান্তি কামনা করছি। আমি গভীরভাবে শোকাহত।’
[৫] এদিকে, জানা যায়, অমিতাভ বচ্চন একটি স্মৃতিচারণে জানান, দিলীপ কুমারের অটোগ্রাফ পেতে তাঁর ৪৬ বছর লেগেছে। প্রথম বার মা-বাবার সঙ্গে গিয়েছিলেন দক্ষিণ মুম্বইয়ের একটি হোটেলে, যেখানে দিলীপ কুমার সবান্ধবে উপস্থিত। নায়ককে ঘিরে ভিড়ের কারণে তিনি সফল হননি সেদিন।
[৬] কিছুকাল পরে আরেকটি সুযোগ আসে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু একটা পার্টি দিয়েছিলেন। দিলীপ কুমার, দেব আনন্দ, রাজ কাপুর হাজির। কিন্তু সেই পার্টিতেও অমিতাভ প্রিয় তারকার অটোগ্রাফ নিতে পারেননি। এমনকি ১৯৮৩ সালে ‘শক্তি’ ছবিতে দিলীপ কুমারের সঙ্গে কাজ করলেও অমিতাভ তাঁর অটোগ্রাফ সংগ্রহে ব্যর্থ হন। অবশেষে তাঁর স্বপ্ন সত্যি হয় ২০০৫ সালে। রানি মুখার্জির সঙ্গে ‘ব্ল্যাক’ সিনেমায় ছিলেন অমিতাভ। রানির আমন্ত্রণে স্ত্রী সায়রা বানুকে নিয়ে ছবি দেখতে এসেছিলেন দিলীপ কুমার। ছবি দেখে আপ্লুত দিলীপ কুমার অমিতাভকে একটা দীর্ঘ চিঠি লেখেন। তাতে অনেক প্রশংসাবাক্য থাকলেও চিঠির শেষে দিলীপ কুমারের সই দেখেই খুশিতে আত্মহারা হয়ে যান অমিতাভ বচ্চন।