লিহান লিমা: [২] জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) বলেছে, এ বছর উত্তর কোরিয়া ৮ লাখ ৬০ হাজার টন খাদ্য ঘাটতির মুখে পড়েছে। সংস্থাটি সতর্ক করে বলে, আগামী মাসের প্রথম দিকেই দেশটিকে ‘কঠোর হ্রাসকালীন’ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে পারে। সিএনএ
[৩] পারমাণবিক অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচীর কারণে উত্তর কোরিয়া একাধিক আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মুখে রয়েছে। গত বছর করোনা ভাইরাস মহামারী, গ্রীষ্মকালীন ঝড় এবং বন্যা দেশটির ইতোমধ্যে দুর্বল হয়ে পড়া অর্থনীতির ওপর পুনরায় বোঝা চাপিয়েছে। গত মাসে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন খাদ্য সংকটের বিষয়টি স্বীকার করে জনগণকে ‘সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি’র জন্য প্রস্তুত হওয়ার জন্য সতর্ক করেন।
[৪] এফএও’র প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর কোরিয়ায় এ বছর প্রায় ৫৬ লাখ টনের মতো শস্য উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। যা দেশটির জনগণের খাদ্য চাহিদা পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণের তুলনায় প্রায় ১১ লাখ টন কম। প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটি আনুষ্ঠানিকভাবে আমদানির পরিকল্পনা করছে ২ লাখ ৫ হাজার টন খাদ্য, সেক্ষেত্রে দেশটি ৮ লাখ ৬০ হাজার টন খাদ্য ঘাটতির মুখোমুখি হবে। যদি আমদানি বা ত্রাণের মাধ্যমে এই ঘাটতি পূরণ করা না যায় তবে আগস্ট থেকে অক্টোবরের মধ্যে দেশটির পরিবারগুলো কঠোর খাদ্য সংকটের সম্মুখীন হবে।
[৫] মহামারী থেকে মুক্তির জন্য গত জানুয়ারি থেকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বন্ধ করে দেয় উত্তর কোরিয়া। ফলশ্রুতিতে দেশটির অর্থনীতির অন্যতম পথ- বেইজিংয়ের সঙ্গেও বাণিজ্য কমে আসে, সব আন্তর্জাতিক ত্রাণকর্মীরা দেশ ছেড়ে চলে যান।
আপনার মতামত লিখুন :