শাহীন খন্দকার:[২] বুধবার করোনার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোর শয্যা সংখ্যা বাড়ানো ও জনবল পুনর্বণ্টন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমাদের যেসব হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, সেই হাসপাতালগুলোতে কীভাবে শয্যার সংখ্যা বাড়ানো যায়, জনবল কীভাবে পুনর্বণ্টন করা যায় আমরা সে দিকে মনোযোগ দিয়েছি। এর বাইরে ফিল্ড হাসপাতাল করা যায় কি না সে বিষয়টি আমরা যাচাই-বাছাই করছি।

[৩] নাজমুল ইসলাম আরও বলেন, ‘গত এক সপ্তাহ ধরে মৃত্যু সংখ্যা ১০০ এর উপরে রয়েছে। গত এক সপ্তাহের চিত্র যদি আমরা দেখি, ৩০ জুন ১১৫ জন মারা গিয়েছিলেন, ১ জুলাই ১৪৩ জন, ২ জুলাই ১৩২ জন, ৩ জুলাই ১৩৪ জন এভাবে ৬ জুলাই ১৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। পঞ্চাশোর্ধদের আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বেশি। গত কিছু দিন ধরে আমরা দেখেছি রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে মৃত্যুর হার অন্য স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক বেড়েগেছে।’

[৪] ‘জানুয়ারি মাসে সংক্রমণের যে হার ছিল সেখানে শনাক্ত রোগীর ছিল ২১ হাজার ৬২৯ জন। এপ্রিল মাসে সেটি লাখ ছাড়িয়েছিল। জুন মাসে সেটি এক লাখ ১২ হাজার ৭১৮ জনে থেমে ছিল। জুলাই মাসের মাত্র সাতদিন অতিক্রান্ত হচ্ছে। ছয় দিনে ৫৩ হাজার ১৪৮ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। সংক্রমণের উচ্চমুখী এই প্রবণতা যদি অব্যাহত থাকে, জুলাই মাসে রোগী সংখ্যা এপ্রিল ও জুন মাসকে ছাড়িয়ে যাবে।

[৫] রোগী সংখ্যা যদি অস্বাভাবিক বেড়ে যায়, যেটি লকডাউন বা বিধি-নিষেধ অমান্য করার ঘটেছে এবং ঘটছে, তাহলে আমরা আবারও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে যাব’ বলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই মুখপাত্র। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘স্বাভাবিক সময়ে বাংলাদেশে ৫০ থেকে ৭০ মেট্রিক টন অক্সিজেনের চাহিদা থাকে। করোনাকালে সেটি আড়াই থেকে তিন গুণ বেড়েছে এবং রোগী সংখ্যা যদি এভাবে বাড়তে থাকে তাহলে সেটি সামাল দেওয়া আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে।’