রিয়াজুর রহমান: [২] হত্যা মামালায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি পোশাককর্মী কুলসুম আক্তারের পরিবর্তে প্রায় তিন বছর জেল খেটে মুক্তি পাওয়ার ১২দিন পর সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান মিনু আক্তার। যদিও মিনুর ভাই রুবেল একে হত্যাকান্ড বলে দাবি তুলেছেন। প্রশ্ন তুলেছেন মিনুকে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা দেওয়া চট্টগ্রামের আইনজীবি গোলাম মাওলা মুরাদও।
[৩] এবার তারাই জানিয়েছেন, সেই মিনুর বড় ছেলে ইয়াসিন (১২) নিখোঁজ। মিনুর ভাই রুবেল গনমাধ্যমকে জানান, ইয়াসিন চট্টগ্রাম মহানগরীর ষোলশহর এলাকায় একটি দোকানে কাজ করত। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই দোকানে গিয়ে তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
[৪] রুবেল বলেন, ভাগিনা ইয়াসিনের খোঁজে ষোলশহর গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখি ইয়াসিন যে দোকানে কাজ করত সেই দোকানটি ভাঙা। দোকানের মালিকও নেই, ভাগিনা ইয়াসিনও নেই। তাদের কারও নম্বর নেই আমার কাছে। এই বিষয়ে কোনো জিডি করেছেন কি-না জানতে চাইলে রুবেল বলেন, বিষয়টি আমি আইনজীবিকে জানিয়েছি। আরও খুঁজে দেখি। না পেলে আবশ্যই জিডি করব। পুলিশকে জানাব।
[৫] রুবেল বলেন, আমার বোন মিনুকে তার স্বামী ছেড়ে চলে যায়। এরপর থেকে ছেলেরা মায়ের কাছেই থাকত। তম্মধ্যে বড় ছেলে ইয়াসিন ষোলশহর এলাকায় একটি দোকানে কাজ করত।
[৬] উল্লেখ্য,গত ২৮ জুন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার পর অজ্ঞাত পরিচয় হিসেবে পুলিশ আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে মিনুর মরদেহ দাফন করে। কিন্তু বোনের মৃত্যু সম্পর্কে রুবেল বলেন, এটি কোন সড়ক দুর্ঘটনা নয়। মনে হয় এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। যাদের কারণে আমার বোন বিনা অপরাধে জেলে ছিলেন, তারাই এই হত্যাকান্ড ঘটাতে পারে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা দরকার।
[৭] এছাড়া মিনুর আইনজীবি গোলাম মাওলা মুরাদ বলেন, কারাগার থেকে মুক্তির পর মিনুকে সুস্থ স্বাভাবিক বলেই মনে হয়েছে। পুলিশ বলছে, ভোর ৪টার দিকে বায়েজিদ লিঙ্করোডে সড়ক দুর্ঘটনায় মিনু মারা গেছে। কিন্তু আমার প্রশ্ন এতো রাতে তিনি ওই জায়গায় কীভাবে গেলেন? পরিবার কেনো তার খোঁজ নেয়নি। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :