লিহান লিমা: [২] জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের প্রধান মিশেল বেখলেট মঙ্গলবার সতর্ক করে বলেন, গত ফেব্রুয়ারির পর থেকে মিয়ানমারে যে সংঘাতময় পরিস্থিতি বিরাজ করছে তা দেশটিকে গৃহযুদ্ধের দিকে নিয়ে যাচ্ছে এবং এটি এই অঞ্চলের অন্য দেশগুলোতেও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করবে। সিএনএন
[৩]তিনি আরো বলেন, মিয়ানমারে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে হওয়া রাজনৈতিক সংকট মানবাধিকার বিপর্যয়ের দিকে রুপ নিয়েছে। এটি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে এই সংকট বৃহত্তর অনিরাপত্তার সৃষ্টি করবে এবং এর প্রভাব পুরো অঞ্চলজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে।
[৪]গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যূত্থানে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি’কে উৎখাত করে সামরিক জান্তা সরকার ক্ষমতা দখল করার পর থেকে প্রতিনিয়ত দেশটিতে অভ্যূত্থান বিরোধী বিক্ষোভ হচ্ছে।
[৫]বেখলেট বলেন, ‘অভ্যূত্থানের পর থেকেই মিয়ানমারের সেনাবাহিনী বেসামরিক নাগরিকদের ওপর পদ্ধতিগত ও পরিকল্পিত হামলা করে যাচ্ছে। অভ্যূত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৯’শ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ২ লাখ মানুষ নিজেদের বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। একই সময়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন ৫ হাজার ২’শ জন, এদের মধ্যে ৯০জনের বেশি সাংবাদিক। আটটিরও বেশি প্রধান সংবাদমাধ্যমকে জোরপূর্বক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।’
[৬] বেখলেট আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, প্রতিনিয়ত কেউ না কেউ গুম হচ্ছে, নৃশংস নির্যাতন ও পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু বাড়ছে। কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভকারীদের আত্মীয়-স্বজন এমনকি সন্তানদেরও গ্রেপ্তার করছে। পুরো দেশজুড়ে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ এখন আত্মরক্ষায় অস্ত্র হাতে নিয়ে সশস্ত্র গ্রুপ গঠন করছে। এই গ্রুপগুলো নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর বিভিন্ন স্থান থেকে হামলা করছে। আমি উদ্বিগ্ন যে এই পরিস্থিতি বেসামরিক নাগরিকদের আরো বিপদে ফেলবে।’
আপনার মতামত লিখুন :