ইমরুল শাহেদ: সাফটা চুক্তির আওতায় আমদানি হওয়া জিৎ ও মিমি অভিনীত ‘বাজি’ ছবিটি গত জুন মাসে বিনা কর্তনে সেন্সর সনদপত্র পেয়েছে। সেন্সর বোর্ডের সচিব জানিয়েছেন, ছবিটি মুক্তি পেতে এখন আর কোনো বাধা নেই। এ ছবিটি প্রযোজনা করেছে অভিনেতা জিতের জিৎ ফিল্ম ওয়ার্কস। ছবিটি আমদানি করেছে তিতাস কথাচিত্র। এই ছবিটির বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে গেছে হাবিবুর রহমান হাবিব পরিচালিত ‘রাত্রির যাত্রী’। তিতাস কথাচিত্র সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের মুক্তির তারিখের সঙ্গে মিলিয়ে একইদিনে ছবিটি বাংলাদেশে মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতিও তারা বিবেচনায় রাখছেন। প্রশ্ন এখানে নয়। বাজি ছবিটি হচ্ছে তেলেগু চলচ্চিত্র ‘নানাকু পেমাথ’ চলচ্চিত্রের অফিসিয়াল রিমেক। মূল ছবিটি পরিচালনা করেছেন সুকুমার।
এতে অভিনয় করেছেন এনটিআর জুনিয়র ও রাকুলপ্রিত সিং। হাবিবুর রহমান হাবিবের ‘রাত্রির যাত্রী’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন মৌসুমী ও আনিসুর রহমান মিলন। ছবিটি ২০১৯ সালে ভালোবাসা দিবসে বাংলাদেশে মুক্তি পেয়েছে। রাত্রির যাত্রী নিজস্ব গল্পনির্ভর হলেও এতে মুম্বাইয়ের ছবি ‘সোলবাছাল’-এর একটা পরোক্ষ ছায়া রয়েছে। এই ছবিটি দিয়ে ভারতীয় দর্শকের মধ্যে কি ধরনের প্রতিক্রিয়া কেমন হবে তা সহজেই অনুমেয়। সাফটা চুক্তির মূল লক্ষ্য কি? সাফটা চুক্তির আসল উদ্দেশ্য কি শুধু ছবি বিনিময়? বলা হয়েছে সাংস্কৃতিক বিনিময়।
ছবি বাছাইয়ের সময় এই বিষয়টিও খেয়াল রাখতে হবে যে, এই চুক্তির আওতায় আনা ছবিগুলো যদি দর্শক পছন্দ করে তাহলে আরো বেশি বেশি ছবি আমদানির ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠবেন আমদানিকারকরা। এমনটা চাইছেনও প্রদর্শকরা। যাহোক, একই ভাবে ভারতীয় দর্শককেও বাংলাদেশের ছবির ব্যাপারে আগ্রহী করে তুলতে হবে। হইচই বা আরো কিছু এ্যাপসের কল্যাণে বাংলাদেশের নাটক ও ওয়েব সিরিজগুলো ভারতীয় দর্শককে আকৃষ্ট করছে। চলচ্চিত্রের মাধ্যমেও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :