সুজিৎ নন্দী : [২] দ্রুত গতিতে চলছে ‘রমনা পার্কের অবকাঠামো উন্নয়ন ও সৌন্দর্যবর্ধন’ প্রকল্পের কাজ। আগামী বছরের জুন মাসে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। পার্কের কোন গাছ না কেটে, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বজায় রেখে এটি বাস্তবায়ন করছে গণপূর্ত অধিদফতর।
[৩] ইতোমধ্যে রাস্তা, বাউন্ডারি ঠিক রেখে, লেক বিশেষ ভাবে সংস্কার করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে। এরই মধ্যে লেক, ব্রিজ, কালভাট কাজ শেষ হয়েছে। এখন রেলিং আর পাটাতন তৈরির কাজ চলছে।
[৪] শুরুতে প্রকল্প ব্যয় ধরা হয় ৪৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। শর্তে ছিলো, প্রয়োজনে ব্যয় বাড়ানো হবে। কিন্তু ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকার কার্যাদেশ দেয়া হয়। এই টাকায় প্রকল্পে কাজ শেষ হবে বলে প্রকল্প সূত্রে জানা যায়। জানা যায়, টেন্ডারে ৩টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অংশ গ্রহন করে। কাজের অভিজ্ঞতা বেশি থাকার কারণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কুশলী নির্মাণ সংস্থা বাস্তবায়ন করছে।
[৫] গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার বলেন, প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। যারা নিয়মিত রমনা পার্কে আসেন, প্রকল্প শেষে তারা এসে নতুন এবং আধুনিক পার্ক দেখতে পারবেন।
[৬] গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জামিল আহমেদ, প্রকল্প অনুযায়ী রমনার লেক খনন করে দৈর্ঘ্য বাড়বে। দর্শনার্থীদের বসার বেঞ্চ নির্মাণ, লেকের ওপর ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। লেকে সারা বছর পানি রাখার ব্যবস্থা করা হবে। পর্যাপ্ত আলোকসজ্জা এবং ল্যান্ড স্কেপিং বনায়ন করা হবে। লেক পাড়ে নির্মাণ করা হবে উডেন ডেক, পানির ফোয়ারা, লেক আইল্যান্ড থাকবে।
[৭] নগর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী স্বর্ণেন্দু শেখর মন্ডল বলেন, পরো কাজ শেষ হলে রমনা পার্কের দৃশ্যে মুগ্ধ হবেন দর্শনার্থীরা। অত্যাধুনিক তিনটি গণশৌচাগার, উন্মুক্ত কফি কর্নার, শিশু কর্ণারে খেলার আধুনিক সরঞ্জাম ও রাইড বসানো হবে। পুরানো ৩ দশমিক ৬ কিলোমিটার ফুটপাত সিরামিক ইটের রাস্তা নির্মাণ করা হবে।
[৮] গণপূর্ত অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের আগস্টৃ মাসে কার্যাদেশের চুক্তি হয়। কিন্তু ডিজাইন মন্ত্রণালয়ে জমা থাকার কারণে কাজ শুরু হতে দেরি হয়। শুরুতে রাস্তা তৈরি হয়। প্রকল্পের সঙ্গে পরিবেশবাদীদের যুক্ত করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :