শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

প্রকাশিত : ০৫ জুলাই, ২০২১, ০৬:৫১ বিকাল
আপডেট : ০৫ জুলাই, ২০২১, ০৬:৫১ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ সম্পর্কে অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুনের লেখায় ভুল তথ্য উপস্থাপনের অভিযোগ করলেন বিভাগের সভাপতি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ৫ জুলাই আমাদের সময় ডট কমে পাঠানো বিবৃতিতে বলেন, গত রোববার (৪ জুলাই-২০২১) আমাদের সময় ডট কম অনলাইনে “যেই বিভাগ তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞানের জন্য খ্যাত সেখানে আজ এটি সবচেয়ে বেশি অবহেলিত” শিরোণামে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। নিবন্ধটি লিখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক জনাব কামরুল হাসান মামুন। নিবন্ধে অনেক ভুল তথ্য দেয়া হয়েছে। জনাব মামুন লিখেছেন যে, এই বিভাগটি শুধুমাত্র তত্ত্বীয় পদার্থ বিজ্ঞানের জন্যই বিখ্যাত যা ভুল। বিভাগের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক সমানভাবে চলমান এবং গবেষণালব্ধ ফলাফল প্রতি বছর দেশি/বিদেশী নামীদামী জার্নালে প্রকাশিত হয়ে আসছে।

অধ্যাপক হাসান লিখেছেন যে, বিভাগে তত্ত্বীয় বিষয় পড়ানোর জন্য যথেষ্ট পরিমানে শিক্ষক নেই, এই তথ্যটিও সম্পূর্ণ ভূল, বিভাগীয় সিলেবাসে ব্যবহারিক বিষয় বেশি অন্তর্ভুক্ত থাকায় ব্যবহারিক বিষয়ে পাঠদানের শিক্ষক সংখ্যা বেশি, কিন্তু তত্ত্বীয় বিষয় পড়ানোর শিক্ষক সংখ্যা অবশ্যই যথেষ্ট পরিমানে রয়েছে।

নিবন্ধের শেষে লেখক কামরুল হাসান মামুন লিখেছেন যে, “বিভাগে একটি ই-কনফারেন্স হচ্ছে অথচ সেখানে তত্ত্বীয় বিষয়ে কোন বক্তা নাই। এইভাবেই বিভাগের ঐতিহ্য আজ ধুলায় বিলীন।” নিবন্ধের এই বাক্য আমাদের কাছে দৃষ্টিকটু ও অবান্তর বলে মনে হয়েছে। আসলে লেখক তার নিবন্ধে নিজের মতামত ব্যক্ত করতে গিয়ে প্রকৃতপক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সুনামকে ক্ষুন্ন করেছেন।
সবার অবগতির জন্য অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ তথা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উপলক্ষে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের উদ্যোগে কয়েকটি বিষয়ের ওপর ভার্চুয়াল সেমিনারের আয়োজন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এ নিয়ে কমিটি এবং উপকমিটি গঠন ও সংশ্লিষ্ট একাধিক বিষয়ের ওপর প্রবন্ধ আহ্বান করা হয়েছে। যা সকলেই অবহিত। কিন্তু কেউ যদি লেখা না দেন তাকে তো লেখার জন্য বাধ্য করা যায় না। অধ্যাপক কামরুল হাসান

মামুন নিজেও এই কনফারেন্স অরগানাইজিং কমিটির একজন সন্মানিত সদস্য। তিনি তথ্য দিয়েছেন যে কনফারেন্সে তত্ত্বীয় বিষয়ে কোন স্পিকার নেই এই বক্তব্যটি সম্পূর্ণ ভুল, এই কনফারেন্সে মোট ৬ (ছয়) টি সেশনের মধ্যে ২ (দুই) টি সেশন তত্ত্বীয় পদার্থ বিজ্ঞানের উপর, মোট ৪৬ টি গবেষনা প্রবন্ধের মধ্যে ১৪ টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপিত হবে তত্ত্বীয় পদার্থ বিজ্ঞানের উপর, এবং ৭ (সাত) জন ইনভাইটেট স্পিকারের মধ্যে ৩ (তিন) জন তত্ত্বীয় গবেষণার উপর তাদের প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন।

অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন নিবন্ধে “বিভাগে একটি ই-কনফারেন্স হচ্ছে অথচ সেখানে তত্বীয় বিষয়ে কোন বক্তা নাই। এইভাবেই বিভাগের ঐতিহ্য আজ ধুলায় বিলীন।” যে বাক্যটি উল্লেখ করেছেন ঢাবির পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। কেননা লেখক তার লেখা ছাপানোর আগে বিভাগের চেয়ারম্যান কিংবা অন্য কোনো শিক্ষকের সাথে আলাপ করেননি। তিনি তার নিজের মতামত ব্যক্ত করেই নিবন্ধ লিখে তা প্রকাশ করেছেন।

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়