শিমুল মাহমুদ: [১] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, বৃষ্টিপাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডেঙ্গুও বেড়ে গেছে। গবেষণা বলছে গত বছরের তুলনায় এ বছর ডেঙ্গু বাড়বে।
[২] সোমবার ঢাকায় ৩৮ জন এবং ঢাকার বাইরে ১ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর আগে ৪ জুলাই ৩৩ জন, জুলাই ৩০ জন, ২ জুলাই ১২ জন এবং ১ জুলাই ঢাকায় ২১ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়। এসময় ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যায়নি।
[৩] দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে এখন পর্যন্ত ১২০ জন রোগী ভর্তি আছে। এর মধ্যে ঢাকাতেই আছে ১১৭ জন, আর বাকি ৩ জন ঢাকার বাইরে অন্য বিভাগে।
[৪] এই বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত ৫০৪ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন এবং ছাড়া পেয়েছেন ৩৮৪ জন। তবে এই বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে কারও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
[৫] কীটতত্ত্ববিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশারের বলেন, তাপমাত্রা আর বৃষ্টিপাতের ওপর এডিস মশার ঘনত্ব নির্ভর করে। ডেঙ্গু ঝুঁকি নির্ভর করে এডিস মশার ঘনত্বের ওপর।
[৬] তিনি বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধ বা মোকাবিলায় যখন ডেঙ্গুর মৌসুম শুরু হয় তখন উদ্যোগী হলে চলবে না। মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করে বছরব্যাপী কর্মসূচি চলমান থাকতে হবে। যখন ডেঙ্গু শুরু হয়ে যায় তখন এটিকে নিয়ন্ত্রণে আনা বেশ কঠিন।
[৭] বাংলাদেশের তাপমাত্রা সারা বছর এডিস মশা জন্মানোর উপযোগী। কিন্তু বৃষ্টিপাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এডিস মশার ঘনত্ব বেড়ে যায়। শীতকালে যখন বাংলাদেশে বৃষ্টিপাত হয় না, তখনও ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যায়। তবে সংখ্যাটি খুব কম। বাংলাদেশে আগস্ট এবং সেপ্টেম্বর মাসে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী হয়। তবে জুন, জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর এই চারটি মাসকে ডেঙ্গুর মূল মৌসুম বলা হয়।