মাসুদ আলম : [২] কঠোর বিধিনিষেধে আগের চারদিন রাজধানীর সড়কে মানুষের সংখ্যা কম হলেও সোমবার পঞ্চমদিন সকাল থেকে বেড়েছে যানবাহনের সংখ্যা। সেই সঙ্গে বেড়েছে পথচারী ও নানা প্রয়োজনে বের হওয়া নগরবাসীর চলাচলও। সড়কে চেকপোস্ট কোথাও সক্রিয় কোথাও নিষ্ক্রয়। কোনো কোনো চেকপোস্টে যানবাহনের দীর্ঘ সারিও দেখা গেছে। কোথাও যানজটের সৃষ্টি হয়। করোনার সংক্রমণ রোধে কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে মাঠে রয়েছেন পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্যরা। পাশাপাশি মাঠে রয়েছে নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট।
[৩] প্রয়োজনের পাশাপাশি অজুহাতের কমতি ছিল না আজও। ডাক্তার দেখানো, ওষুধ আনতে যাওয়া, রোগী দেখতে যাওয়া, ব্যাংকে টাকা জমা ও তুলতে যাওয়া, দোকানে যাওয়া, বাজার করাসহ নানান কারণ নিয়ে বের হচ্ছেন মানুষ। কারণ যৌক্তিক হলে যেতে পারছেন, অন্যথায় আটক করা হচ্ছে ও জরিমানা গুনতে হচ্ছে।
[৪] শেরে বাংলনগর জোনের ট্রাফিক পরিদর্শক নুরে আলম বলেন, পুলিশ কোনোভাবেই শিথিলতা দেখাচ্ছে না। বরং কঠোর অবস্থানে আছে। আজ থেকে ব্যাংকগুলো খোলা। তাই রাস্তায় গাড়ির চাপ বেড়েছে। যারা অকারণে বের হয়েছে মামলা ও জরিমানা করা হচ্ছে।
[৫] তবে প্রধান সড়ক কড়কড়ি থাকলেও পাড়া মহল্লার সবকিছুই স্বাভাবিক। যে যার মতো চলাফেরা করছে। দোকানপাট এবং বাজারগুলোতে ছিল সাধারণ মানুষের ভিড়। অধিকাংশ দোকানদার ও ক্রেতাদের মুখে মাস্ক নেই। গভীর রাত পর্যন্ত দোকানপাট খোলা রাখা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :