রুমি আহমেদ: সিএমএইচ এর ক্রিটিকাল কেয়ার মেডিসিন বিভাগের প্রধান ব্রিগেডিয়ার মাসুদ মজুমদার একটা সার্কুলার জারি করেছেন, যাতে কোভিড প্রতিরোধের জন্য সবাইকে আইভারমেকটিন খাবার নির্দেশনা জারি করেছেন। সার্কুলারটির সঙ্গে তিনি কিছু লিংক দিয়েছেন এ সংক্রান্ত কিছু রিসার্চ প্রকাশনার। ওনার অনেকগুলো লিংক কাজ করে না। উনি দু’একটা রিসার্চের লিংক দিয়েছেন, একটা ভারতীয় এবং একটা বাংলাদেশি রিসার্চের। তিনি আমেরিকার কয়েকজন ডাক্তারের বানানো একটা প্রাইভেট ওয়েবসাইটের লিংক দিয়েছেন। এভাবে শুরু করি, পৃথিবীর কোনো বিশেষজ্ঞ সংগঠন, কোনো আন্তর্জাতিক সংগঠন, কোভিড চিকিৎসার জন্য আইভারমেকটিন রিকমেন্ড করেনি। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন ‘হু’ বলছে যে, রিসার্চ ট্রায়াল ছাড়া কোভিডে আইভারমেকটিন সেবনের কোনো অনুমতি নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি স্বাস্থ সংস্থা এনআইএইচ ক্লিয়ারলি বলেছে, তাদের হাতে এই মুহূর্তে কোনো প্রমাণ নেই যাতে দেখা যায় যে আইভারমেকটিন কোভিডের বিরুদ্ধে কাজ করে? তারা কীভাবে বলছেন, এটা? তাদের ৪৮ জন অধ্যাপকের এক প্যানেল আইভারনেকটিন নিয়ে যা রিসার্চ আছে (যার অনেকগুলোর লিংক ব্রিগেডিয়ার মজুমদার দিয়েছেন) তা পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে বিচার বিশ্লেষণ করে কালেক্টিভলি এই সিদ্ধান্তে এসেছেন যে, রিসার্চগুলো খুব দুর্বল, কোনো রিগোরাস প্রটোকল মেনে রিসার্চ করা হয়নি। রিসার্চগুলোতে পেশেন্টগুলো আইভারমেকটিন সহ আরো ওষুধে ছিলো, যেমন স্টেরয়েড। বোঝার কোনো উপায়ও নেই যে আসলে কোনো ওষুধটা কাজ করেছে? একই কথা বলছে, আরও কঠোর ভাবে বলছে আমেরিকার ইনফেকশাস ডিজিজ সোসাইটি। ওরা বলছে, আইভারমেকটিন ইউজ না করতে। ওদের ও ১৮ জন বিশেষজ্ঞ প্যানেল আইভারমেকটিন এর পেপার গুলো যাচাই বাছাই করছে এমন এই কনক্লুশন এ এসেছে যে, আইভারমেকটিন কাজ করে না। আমি ইউরোপিও সোসাইটি/এশিয়ান সোসাইটি প্রমুখ এর কথাও বলতে পারি। কিন্তু তাহলে লেখা লম্বা হয়ে যাবে। মোদ্দা কথা, পৃথিবীর কোনো সিরিয়াস প্রফেশনাল সংগঠন আইভারমেকটিন রিকমেন্ড করে না। লেখক: জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ
আপনার মতামত লিখুন :