শরিফুল হাসান: ছোটখাটো নানান বিষয়ে আমাদের ধর্মীয় অনুভূতি যতোটা শক্ত, ঘুষ-দুর্নীতি, আরেকজনের জমি দখল বা অবৈধ আয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ততোটা শক্ত না। ফলাফল দেশে-বিদেশে খেতে গিয়ে মুরগিটা হালালভাবে জবাই হয়েছে কিনা তা নিয়ে যতো চিন্তা আমাদের, হালাল রুজি নিয়ে ততোটা চিন্তা নেই। এমনকি হারাম আয়ে যে ইবাদত কবুল হয় না, সেই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা আমরা ভুলে যাই। অথচ কথাটা মনে রাখলে সারাজীবন দুর্নীতি করে শেষ জীবনে হজ করার ভাবনা মাথায় আসতো না। আমি মনে করি আমরা যদি সবসময় হালাল রুজি নিয়ে চিন্তা করতাম, তাহলে ঘুষ-দুর্নীতিসহ অনেক অপরাধ কমে যেতো বাংলাদেশে। আর কোনো মানুষের আয়টা হালাল হলে তিনি নিজেও বহু অপরাধ থেকে দূরে থাকবেন।
আফসোস আমরা সেদিকে নজর দেই না। বরং যার টাকা আছে হোক সেটা যেনতেন ভাবে তাকেই আমরা ভাবি ক্ষমতাবান। চলুন আমরা ছোট্ট একটা নীতি নিয়ে চলি। সবসময় সৎ থেকে আয়টা হালাল রাখবো আর সবসময় মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়াবো। দেখবেন আমাদের অধিকাংশ সমস্যা মিটে গেছে। মনে রাখবেন দেশটা খুব ছোট। আপনি যে ঘুষ খান, দুর্নীতি করেন আপনাকে সামনা-সামনি লোকে সালাম দেয় কিন্তু আসলে সবাই জানে আপনি দুর্নীতি করেন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে বোধ দেক। ঘুষ-দুর্নীতি হারাম থেকে দূরে রাখুন। হালাল রুজির ব্যবস্থা করুক। ভালো থাকুন সবাই। ভালো থাকুক প্রিয় বাংলাদেশ। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :