মনিরুল ইসলাম: [২] চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইন ২০২১’ টেলিভিশনে অভিনয় শিল্পীরাও প্রযোজ্য। এ আইনের তারাও সুবিধা পাবেন বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
[৩] জাতীয় সংসদে আইনটি পাস হবার পর টেলিভিশন অভিনয় শিল্পীরা এই আইনে তাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছি কি না তা নিয়ে উদ্বেগে ছিলেন শিল্পীরা। অভিনয় শিল্পী সংঘের সাবেক সভাপতি শহীদুল হক সাচ্চু বলেন আইনটি পাস হয়েছে জেনে খুশী হয়েছি। তবে আমরা যারা টেলিভিশনে অভিনয় করি তারা কি এই আইনে সুবিধা পাবো কি না পরিস্কার নয়। আমাদের শিল্পীদের যেন এই আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয় সে দাবি প্রধানমন্ত্রী ও তথ্য মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছিলাম। আইনের কপি পেলে জানতে পারবো।
[৪] এদিকে, জাতীয় সংসদের অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অন্তর্ভুক্তির বিষয় পরিস্কার করে জবাব দেবার পর টেলিভিশন অভিনয় শিল্পীরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন বলে জানা যায়।
[৫ ] তিনি বলেন, চলচ্চিত্র শিল্পীদের বহুদিনের দাবি ছিল, তাদের কল্যাণের জন্য একটি ট্রাস্ট গঠন করা। সেই ট্রাস্ট গঠন করার লক্ষ্যেই আজ চলচ্চিত্র কল্যাণ ট্রাস্ট আইন সংসদে উপস্থাপন করা হয়েছিল এবং সেটি পাস হয়েছে।
[৬] টেলিভিশন অভিনয় অঙ্গনের কথা জানিয়ে ড. হাছান বলেন, টেলিভিশনে যারা অভিনয় করেন, তাদের পক্ষ থেকেও দাবি দেয়া হয়েছিল, যেন তাদেরও এই আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সেই দাবি তারা তথ্য মন্ত্রণালয়ে দেয়ার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী বরাবরও দিয়েছিলেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে তারাও যেন এই ট্রাস্টের সুবিধা পায় সেটিও এই আইনে অন্তর্ভুক্ত করা আছে। টেলিফিল্মকেও সিনেমার সংজ্ঞার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
[৭ ] তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, এই আইনের নাম যদিও চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট, সেভাবেই আইনটি গড়ে উঠছিল, কিন্তু পরে টেলিভিশন শিল্পীরা তাদের জন্যও একটি ট্রাস্ট গঠনের দাবি জানান। প্রত্যেক সেক্টরের জন্য আলাদা ট্রাস্ট করা যেহেতু কঠিন, তারা এ আইনে তাদের অন্তর্ভুক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রীকে এবং আমাদের মন্ত্রণালয়ে দাবি জানান। সেই পরিপ্রক্ষিতে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে টেলিভিশন শিল্পীরাও যাতে এ আইনের সুবিধা পান, সেই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :