লিহান লিমা: [২] দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে পণ্য সরবরাহে উচ্চ আমদানি শুল্ক এড়াতে নকিয়া, স্যামসং, ভিভোর মতো আন্তর্জাতিক মোবাইল ফোন ব্র্যান্ডগুলো যৌথ উদ্যোগে উৎপাদনের জন্য বাংলাদেশকে বেছে নিয়েছে।
[৩] গত কয়েক দশকে উচ্চ প্রবৃদ্ধি, ভোক্তাব্যয়ের কারণে বাংলাদেশ বৈশ্বিক মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। মেড ইন বাংলাদেশকে উৎসাহ দিতে আমদানিকৃত ফোনের ওপর শুল্ক বাড়ানো হয়েছে এবং ভ্যাট থেকে ভোক্তা ক্রয় বাদ দেয়া হয়েছে। অবৈধভাবে আমদানিকৃত ভোটের নেটওয়ার্ক বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
[৪] ২০১৭ সালে ওয়ালটনের হাত ধরে দেশে স্থানীয় ফোন উৎপাদন শুরু হয়। এরপর স্থানীয় উদ্যোগে আরো কয়েকটি কোম্পানি স্মার্টফোন তৈরি করছে। এখন চীনা সংস্থা ভিভো ও রিয়েল মি বাংলাদেশে নিজস্ব কারখানা স্থাপন করেছে। ভিভোর সহকারী ব্যবস্থাপক রিসাত আহমেদ বলেন, ২০১৯ সালে স্থানীয় কারখানা চালু হওয়ার পর থেকে কোম্পানিটি বিপুল মার্কেট শেয়ার অর্জন করেছে। রিয়েল মি এর স্থানীয় মুখপাত্র বলেন, ‘তার কোম্পানি এখন বাংলাদেশের শীর্ষ তিনটি স্মার্টফোন ব্র্যান্ডের মধ্যে একটি।’ ট্রান্সসিওনের স্থানীয় নির্বাহী পরিচালক রেজওয়ানুল হক বলেন, স্থানীয় কারখানাগুলো মাদারবোর্ড, ব্যাটারি, চার্জার ও অন্যান্য উপাদান উৎপাদন করতে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে দাম আরো কমবে। ’
[৫] বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বলেছে, বাংলাদেশে সক্রিয় মোবাইল ফোনের সংখ্যা ১৭ কোটি ৫২ লাখ ৭০ হাজার। অর্থাৎ এশিয়ার ব্র্যান্ডগুলোর জন্য এটি প্রধান আকর্ষণীয় দেশ।
[৬] ফিনল্যান্ড ভিত্তিক এইচএমডি গ্লোবাল ব্র্যান্ড এসেপো বাংলাদেশের স্থানীয় ইউনিয়ন গ্রুপের সঙ্গে নোকিয়া ফোন উৎপাদনের চুক্তি করেছে। চুক্তির আওতায় এক মাসের মধ্যে তারা ৫ লাখ সেট উৎপাদন করবে। টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চীনের লেনোভোর অঙ্গ-প্রতিষ্ঠান শাওমি ও মটোরোলা স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করতে কাজ করছে।
[৭] স্থানীয় বাজার ছাড়াও উৎপাদকরা রপ্তানির কথা বিবেচনা করছেন। ওয়ালটন রপ্তানির জন্য আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের ফোন সংগ্রহ শুরু করেছে। স্থানীয় উৎপাদক গোষ্ঠি ফোর গ্রুপ বলেছে তারা স্যামসং ফোনগুলো একত্রিত করে আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর নজর রাখছে। প্রধান বিপণন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মেসবাহ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা আশা করি ২০২৩-২৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ধারাবাহিকভাবে ফোন রপ্তানি শুরু হবে। প্রায় সবগুলো বৈশ্বিক ব্র্যান্ড কারাখানা স্থাপনের লাইসেন্স পেয়েছে বা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। যখন এগুলোর কার্যক্রম পুরোদমে শুর হবে দেশিয় বাজারের জন্য ৯৫ভাগ স্মার্টফোন স্থানীয়ভাবে তৈরি করা হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :