জাহিদুল হক : [২] বৃহস্পতিবার ( ১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই বুধবার) পর্যন্ত কঠোর লক ডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। মানিকগঞ্জে লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসন,পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি বিজিবি ও সেনাবাহিনী কাজ করছে।
[৩] শনিবার (৩ জুলাই) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বাসস্ট্যান্ড ও শহর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, লকডাউনের তৃতীয় দিনেও ঢাকা আরিচা মহাসড়কের বাসস্ট্যান্ডে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়েছে। ব্যারিকেডের একপাশ দিয়ে দিয়ে শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবার আওতাধীন যানবাহন চলাচল করতে পারছে। এ ব্যারিকেডে পুলিশি নজরদারি রয়েছে। এছাড়া শহরের প্রবেশমুখে রয়েছে আরো একটি ব্যারিকেড। যারা অপ্রয়োজনে বাইরে আসছেন তাদের এ ব্যারিকেডে পুলিশি জেরারমুখে পড়তে হচ্ছে।
[৪] এ পয়েন্টে পুলিশ সাধারন মানুষদের স্বাস্থ্য বিধি মানাতে কাজ করছেন। এছাড়া শহরের জয়রা রোড, খালপাড়, বেউথা,দুধ বাজার, বাজার ব্রীজসহ বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে নজরদারি বাড়িয়েছে। এতে করে কেউ অযথা বা অপ্রয়োজনে বাইরে আসতে পারছেন না। এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন এলাকায় টহল বাড়ানো হয়েছে। জেলা প্রশাসনের সাথে কাজ করছেন সেনাবাহিনী ও বিজিবি৷ প্রশাসনের নজরদারি বেড়ে যাওয়ায় সাধারন মানুষের আনাগোনা কমে গেছে। ব্যারিকেড ও প্রশাসনের নজরদারিতে ঢাকা আরিচা মহাসড়ক ও শহরের প্রবেশমুখ শহীদ রফিক সড়ক ফাঁকা হয়ে গেছে ।
[৫] বান্দুটিয়া এলাকার তৌহিদুর রহমান বলেন, শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে এসব পয়েন্টে পুলিশি নজরদারি বেড়েছে। এছাড়া শহরের সব দোকানপাট বন্ধ থাকায় সাধারন মানুষ বাইরে কম বের হচ্ছেন। তাছাড়া গুরুত্বপূর্ণ
[৬] সড়কে সারাদিন প্রশাসনের কেউ না কেউ টহল দিচ্ছেন। এতে মানুষ বাইরে আরো কম বের হচ্ছেন।
দাশড়া এলাকার শুভাসিস সাহা বলেন, জরুরি ওষুধ কিনতে ফার্মাসিতে আসছি। জরুরি প্রয়োজনে বাইরে আসলেও পুলিশের জেরারমুখে পড়তে হয়েছে। এটা খুবই ভালো উদ্যোগ। এভাবে লকডাউন বাস্তবায়ন হলে সুফল পাওয়া যাবে।
[৭] মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম বলেন, লক ডাউন বাস্তবায়ন করতে জেলা পুলিশের চারশো সদস্য মাঠে কাজ করছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে বাইরে আসতে দেওয়া হচ্ছে না। সাধারন মানুষদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানান তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :