রাশিদ রিয়াজ : গত জুন মাসে ভারতের রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে ৪৭.৩৪ শতাংশ। একই মাসে ভারতের আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে ৯৬.৩৩ শতাংশ যা আর্থিক পরিমানে ৪১.৮৬ বিলিয়ন ডলার। গত বছর একই সময়ে এ আমদানির পরিমান ছিল ২১.৩২ বিলিয়ন ডলার। এর আগের বছর একই মাসে তা ছিল ২৫ বিলিয়ন ডলার। প্রকৌশল, রত্ন ও অলঙ্কার ও পেট্রোলিয়াম পণ্য খাতে রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে। দি প্রিন্ট
গত মে মাসে ৩২.২৭ বিলিয়ন ডলার এবং এপ্রিলে ৩১ বিলিয়ন ডলারের পণ্য চালান হয়। গত বছর জুনে উদ্বৃত্ত বাণিজ্যের তুলনায় এবছর বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে ১৪২৬.৬ শতাংশ। তবে ২০১৯ সালে ভারতে ১৬ বিলিয়ন ডলার বাণিজ্য ঘাটতির তুলনায় এবছর তা হ্রাস পেয়েছে ৪১.২৬ শতাংশ। গত দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক অর্থাৎ এপ্রিল থেকে জুন নাগাদ রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৯৫.৩৬ বিলিয়ন এবং গত বছর তা একই সময়ে ছিল ৫১.৪৪ বিলিয়ন ডলার। গত ত্রৈমাসিকে ভারতের ইতিহাসে মার্চেন্ডাইস রপ্তানি সর্বোচ্চ পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ভারতে মার্চেন্ডাইস রপ্তানি ছিল ৮২ বিলিয়ন এবং এবছর তা দাঁড়িয়েছে ৯০ বিলিয়ন ডলারে। তবে ভারতের এ অর্থবছরে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৪শ বিলিয়ন ডলার। তা পূরণ হবে কি না এ নিয়ে সংশয়ে আছেন রপ্তানিকারকরা। গত ত্রৈমাসিকে আমদানি হয়েছে ১২৬.১৪ বিলিয়ন যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে ৬০.৬৫ বিলিয়ন ডলার। গত জুনে ভারতে তেল আমদানি বেড়েছে ১০.৬৮ বিলিয়ন ডলারের যা শুধু জুনেই ছিল ৪.৯৭ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ গত ত্রৈমাসিকে ভারতে তেল আমদানি হয়েছে ৩১ বিলিয়ন ডলারের যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে ১৩৬.৩৬ শতাংশ এবং গত বছর তা অর্থের পরিমানে ছিল ১৩.১২ বিলিয়ন ডলার।
অবশ্য ২০১৯ সালের এপ্রিল-জুনে তেল আমদানি হয়েছিল ৩৫.৩৬ বিলিয়ন ডলার। একই সঙ্গে প্রকৌশল, পেট্রোলিয়াম ও ওষুধ এ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে রপ্তানি হয়েছে যথাক্রমে ২৫.৯, ১২.৯ ও ৫.৮ বিলিয়ন ডলারের। ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযুষ গয়াল বলছেন পদ্ধতির সরলীকরণ, সময়সীমা সম্প্রসারণ এবং লাইসেন্সের ফলে রফতানির রেকর্ড বৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে। সেবাখাতে আগামী ২০২৫ সাল নাগাদ ভারতের রপ্তানি সাড়ে ৩শ বিলিয়ন ডলার দাঁড়াবে। এমনকি তা ৫শ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। মন্ত্রী এও জানান রপ্তানি পণ্যের ওপর শুল্ক ও কর ছাড়ের প্রস্তাব সরকারের উচ্চ পর্যায়ে বিবেচনাধীন রয়েছে। কারণ এটি একটি বিশাল কাজ, প্রায় ১১ হাজার রপ্তানি পণ্য রয়েছে এবং এসব নিয়ে অধ্যয়ন করা দরকার। শীঘ্রই বিশদ জানানো হবে। এটি কোনও রপ্তানিকারীর জন্য ভর্তুকি নয়, বরং তা কেবলমাত্র কর ফেরত। বৈদেশিক বাণিজ্য নীতি সম্পর্কে গয়াল বলেন এধরনের বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্যে নীতিমালায় আরো কিছু সংযোজন করা যায় কি না তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। আগামী অক্টোবর নাগাদ তা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে যাবে।
আপনার মতামত লিখুন :