শরীফ শাওন: [২] বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানান, চলতি সপ্তাতে বন্যা সৃষ্টির আশঙ্কা ছিলো, তবে বৃষ্টিপাতের পরিমান পরিবর্তন হওয়ায় এটা পিছিয়ে গেছে। হয়তো দু-তিনদিনের মধ্যেই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
[৩] শনিবার আরিফুজ্জামান জানান, অনেক স্থানে পানি বাড়লেও এখনও বন্যার সৃষ্টি হয়নি। নিন্মাঞ্চলের কিছু অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। নদীর পানি অনেক স্থানেই বাড়ছে। মৌসুমের বৃষ্টিপাতের কারণে এই পানি বৃদ্ধি পেতে থাকবে। সপ্তাহের মধ্যে উত্তরাঞ্চলের বন্যা হতে পারে। আগামী দুই তিন দিনে দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চল এবং উত্তরাঞ্চলে পানি বৃদ্ধি পেয়ে কোথাও কোথাও বন্যা বহতে পারে।
[৪] এবার বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকেই ভারী বর্ষণ চলছে। এতে পানি বাড়ছে কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমারসহ নদ-নদীতে। টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে বিপৎসীমার ওপর বইছে তিস্তার পানি। এরইমধ্যে পানি ঢুকেছে ৫০টির মতো গ্রামে।
[৫] বন্যা পূর্বাভস কেন্দ্রের প্রতিবেদনে বলা হয়, এর প্রবনতা তিন সপ্তাহ স্থায়ী হতে পারে। ব্রহ্মপুত্র-যমুনার অববাহিকার সব নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি। ইতোমধ্যে টানা বৃষ্টিপাতে দেশের বন্যাপ্রবন ১০১টি পয়েন্টের মধ্যে পানি বেড়েছে ৬৩ পয়েন্টে।
[৬] পূর্বাভাসে জানানো হয়, বৃষ্টিপাত বৃদ্ধি পাবে ১০ জুলাই পর্যন্ত। এতে এতে নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ ও বগুড়ায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হবে।
আপনার মতামত লিখুন :