শরীফা খাতুন: [২] খুলনা অঞ্চলে সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় করোনা হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়েছে। করোনা হাসপাতালে ধারণক্ষমতার বাইরেও রোগী ভর্তি হচ্ছে। ফলে শয্যা সংকট দেখা দিয়েছে। রোগীর চাপ সামলাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিট চালু করা হয়। তবুও প্রতিদিন রোগীর চাপ থাকছে। এ অবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দিতে খুলনার আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে ৪৫ শয্যার করোনার নতুন ইউনিট চালু করা হয়েছে।

[৩] শনিবার (৩ জুলাই) সকাল ১০টায় শ্রমপ্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান ভার্চুয়ালি ইউনিটটি উদ্বোধন করেন। পরে রোগী ভর্তি নেওয়া শুরু হয়।

[৪] খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. প্রকাশ চন্দ্র দেবনাথ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

[৫] হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য অধিদফতর মঙ্গলবার (২৯ জুন) এক চিঠিতে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে করোনা ইউনিট চালুর নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর বুধবার (৩০ জুন) সকালে হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে সব বিভাগীয় প্রধানদের নিয়ে বৈঠক হয়।

[৬] বৈঠকে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. এস.এম. মোর্শেদ সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই হাসপাতালের উত্তর পাশের জরুরি বিভাগ সংলগ্ন প্লাস্টিক অ্যান্ড বার্ন ইউনিটের ২০টি এবং ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগে ১৫টি বেড স্থাপন কার্যক্রম শুরু হয়। ওই ৩৫টি বেড ছাড়াও চতুর্থ তলার আইসিইউ বিভাগের ১০টি বেডও করোনার রোগীদের জন্য প্রস্তুত করা হয়।

[৭] আবু নাসের হাসপাতালের করোনা ইউনিটের প্রস্তুতি সম্পর্কে ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. এস. এম. মোর্শেদ জানান, এখানে শুধু করোনা পজিটিভ রোগীদের ভর্তি করা হবে। আইসিইউ’র ১০টিসহ মোট ৪৫টি বেডে রোগী ভর্তি করা হবে। সম্পাদনা: হ্যাপি