রাশিদ রিয়াজ : ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছে আর্থিক পরিষেবা এবং অর্থপ্রদান ব্যবস্থায় প্রযুক্তি জায়ান্টগুলির ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সম্পর্কে এখনই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। আর্থিক স্থিতিশীলতা নিয়ে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে তারা আর্থিক লেনদেনে প্রভাবশালী খেলোয়াড় হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে যা তাদের খুব বড় আবার বড় ব্যর্থতায় পর্যবসিত করতে পারে। রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া বৃহস্পতিবার ওই প্রতিবেদনে বলেছে, ব্যাংকগুলির সাথে এসব বড় প্রযুক্তি কোম্পানির লেনদেন, সাইবার সুরক্ষা এবং তথ্য গোপনীয়তা ছাড়াও ‘এ্যান্টিট্রাস্ট রুলস’ নিয়ে উদ্বেগ হবার মত কারণ আছে। তবে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে ভারতে কোন ধরনের প্রযুক্তি কোম্পানি এধরনের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলেনি। ব্লুমবার্গ
বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানির বিনিয়োগের ব্যাপারে ভারত সম্প্রতি বেশ আগ্রহ দেখাচ্ছে। এধরনের কোম্পানিগুলো বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার লেনদেন করতে অভ্যস্ত। অ্যামাজন ডট কম ইনকর্পোরেশন, অ্যালফাবেট ইনকর্পোরেশন তাদের অন্যতম। গভীর পকেটযুক্ত গ্লোবাল প্রযুক্তি খেলোয়াড়দের কাছ থেকে ব্যাপক আগ্রহ দেখেছে। পেমেন্ট ইকোসিস্টেমগুলি বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ,ালাও, হাজার হাজার মা এবং পপ স্টোরের খুচরা নেটওয়ার্কগুলিকে সংযুক্ত করে, তাদের অ্যাপ্লিকেশনগুলিতে বীমা এবং মিউচুয়াল ফান্ড বিক্রি করে এবং ব্যাংকের ডিজিটাল মার্কেট শেয়ারে খাওয়ার সংস্থাগুলির মধ্যে রয়েছে অ্যামাজন ডটকম ইনক এবং আলফায়েট ইনক। এধরনের প্রযুক্তি কোম্পানি গুলোকে ‘ডিপ পকেট’ কোম্পানি বলা হয় যারা তাদের প্রকল্প বাস্তবায়নের বড় ধরনের লুটপাট করতে কোনো কার্পণ্য করে না। শত সহস্র স্টোরের মাধ্যমে বিশাল জনগোষ্ঠীর মধ্যে খুচরা নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে, অ্যাপের মাধ্যমে ইন্স্যুরেন্স বা মিউচুয়াল ফান্ড বিক্রি করে এমনকি ব্যাংকের ডিজিটাল শেয়ারেও ভাগ বসায়। ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এমন এক সময়ে এধরনের উদ্বেগ প্রকাশ করল যখন বৃহত্তম মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো গত ফেব্রুয়ারিতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারের জারিকৃত নতুন বিধিগুলির বিরুদ্ধে আপত্তি তুলেছে এবং কপিরাইট গোপনীয়তা এবং বাক স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। ভারতের কর্মকর্তারা এক পর্যায়ে ফেসবুক ও টুইটারকে শত শত পোস্ট নামিয়ে ফেলার দাবি জানায়। এরপর বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো সংবেদনশীল ব্যবহারকারীর তথ্য প্রকাশে ভারতের সরকারের চাপকে বাকস্বাধীনতা বিরুদ্ধ বলে অভিহিত করে। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে চাওয়া প্রয়োজনীয় তথ্য একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে জমা দিতে বা তা না দিলে সংস্থাগুলোর নির্বাহীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা এমনকি জেল হওয়ার আশঙ্কার কথা জানানো হয়।
আপনার মতামত লিখুন :