শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৩ জুলাই, ২০২১, ০৩:৪৮ রাত
আপডেট : ০৩ জুলাই, ২০২১, ০৩:৪৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিক্রি হচ্ছে না কর্ণফুলী পেপার মিলের কাগজ, বাকি পড়েছে কর্মচারীদের বেতন

ইত্তেফাক: কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনায় অবস্থিত কর্ণফুলী পেপার মিলে (কেপিএম) ৬০ কোটি টাকার কাগজ অবিক্রীত পড়ে আছে। অথচ টাকার অভাবে শ্রমিক কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের দুই মাসের বেতন প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না। এই ৬০ কোটি টাকার কাগজ বিক্রি হলে সবার বেতন প্রদানসহ কারখানার অন্যান্য খরচ মেটানোও সম্ভব হতো। কাগজ বিক্রি না হওয়ায় উত্পাদন সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও বর্তমানে উত্পাদন সীমিত রাখা হয়েছে বলে কারখানা সূত্রে জানা গেছে। কারখানার গুদামে বিপুল পরিমাণ কাগজ অবিক্রীত পড়ে থাকার কথা স্বীকার করেছেন কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী বিদ্যুত্ কুমার বিশ্বাস। কাগজ বিক্রির বিষয়ে তিনি বিসিআইসির চেয়ারম্যান শাহ মো. ইমদাদুল হকের সঙ্গে আলোচনা করেছেন এবং বিসিআইসির চেয়ারম্যান এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, কেপিএমের গুদামগুলো রিম কাগজে ভরাট হয়ে আছে। গুদামে কাগজ রাখার জায়গা না থাকায় মেশিন হাউজের বিভিন্ন স্থানে স্তূপ করে কাগজ রাখা হয়েছে। বৃষ্টির পানি পড়ে কিছু কিছু কাগজ নষ্টও হচ্ছে।

কারখানার মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) এ কে এম আনিসউজ্জামান বলেন, কেপিএম উত্পাদিত কাগজের প্রধান ক্রেতা হলো জাতীয় পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। প্রতি বছর সরকার কোটি কোটি শিক্ষার্থীর হাতে বিনামূল্যে যে পাঠ্য বই উপহার হিসেবে তুলে দিচ্ছে সেই কাগজ কেপিএম থেকে কিনে নেয় এনসিটিবি। কিন্তু বিগত দুই বছর এনসিটিবি কেপিএম থেকে কাগজ নিচ্ছে না। যার ফলে কেপিএমে কাগজের পাহাড় জমে গেছে। এনসিটিবি ছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড এবং অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি সংস্থাও অন্যান্য বছর কেপিএম থেকে কাগজ কিনে নিত। বর্তমানে তারাও কাগজ কেনা থেকে বিরত রয়েছে।

কেপিএমের মহাব্যবস্থাপক (উত্পাদন) মো. গোলাম সরওয়ার বলেন, বেসরকারি অনেক সংস্থা বর্তমানে দেশে কাগজ উত্পাদন করলেও কেপিএমের কাগজ উন্নতমানের। এই কাগজ টেকসই, সহজে কাগজ লালচে হয় না, ছিঁড়ে না, দীর্ঘ সময় পরও কাগজের মান অক্ষুণ্ন থাকে এবং কাগজের উভয় পিঠে সমানভাবে লেখা যায়। তিনি বলেন, কাগজ উত্পাদনের জন্য কেপিএম নগদ মূল্যে বিদেশ থেকে পাল্প (মণ্ড) কিনে আনে। এছাড়াও অন্যান্য কাঁচামালও কেপিএম নগদ মূল্যে ক্রয় করে থাকে। প্রতি বছর কেপিএম সরকারি কোষাগারে কোটি কোটি টাকা কর দিচ্ছে। উত্পাদন সচল রাখতে প্রতি মাসে কোটি কোটি টাকার গ্যাস ও বিদ্যুত্ বিল পরিশোধ করছে কেপিএম। এভাবে উত্পাদন খাতে প্রতিষ্ঠানের কোটি কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়