ইফতেখায়ের আলম: [২] কোভিড উপসর্গ নিয়ে মৃত ব্যাক্তির স্ত্রী ও সন্তানরা লাম নিতে অস্বীকৃতি পর সারারাত শহিদুল ইসলামের (৫৫) লাশ পড়ে থাকে রামেক হাসপাতালের ২২ নং ওযার্ডের মেঝেতে।
[৩] বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ(রামেক) হাসপাতালের ২২নং ওয়ার্ড করোনা ইউনিটে তার মৃত্যু হয়। এ সময় তার স্ত্রী ও কন্যা হাসপাতালেই ছিলেন। তারা সাফ জানান করোনা রোগীর লাশ নেবেন না।
[৪] শেষ পর্যন্ত মৃত শহিদুলের স্ত্রী, কন্যা দাবি করেন লাশ ধুয়ে কাফনে মোড়ানো হলে তারা লাশ নিয়ে যাবেন। পরে হাসপাতালের পক্ষ থেকে রাজশাহী সিটি করপোরেশনে (রাসিক) খবর দেয়া হয়। খবর পয়ে শুক্রবার সকাল ৮টায় আনজুমানে মোফিদুলের ৭জন সদস্যর একটি দল আসে রামেকের করোনা ইউনিটে। সেখানে লাশ দাফনের জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা শেষে শহিদুলের লাশ তুলে দেন এম্বুলেন্সে। এরপর তার স্ত্রী, কন্যা লাশ নিয়ে নিজ গন্তব্যে রওনা হন।
[৫] এরআগে গত (৩০ জুন) শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হন মৃত শহিদুল ইসলাম। ২দিন প্রয়োজনীয় চিকিৎসার পাশাপাশি অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয় তাঁকে। শেষ পর্যন্ত দিবাগত রাত ১২টায় মারা যান তিনি।
[৬] করোনা ইউনিটে ভর্তি শারমিন হুদা জানান, মৃত শহিদুল ইসলামের বাড়ি নাটোর জেলার গুরুদাসপুরে। সংসার জীবনে তার তিন কন্যা রয়েছে। তিনজনকেই পড়াশোনা করিয়ে উচ্চ শিক্ষত করেছেন। দুই মেয়ের প্রতিষ্ঠিত পাত্র দেখে বিবাহ্ দিয়েছেন। কিন্তু মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কোন মেয়ে তাকে তার পিতাকে কোন সেবা দেননি। তবে তার স্ত্রী কাছে ছিলেন। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :