মুরাদ হাসান ও শিমুল মাহমুদ : [২] অনবরত বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দেশের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটের নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চর এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে ফসলের খেত, রাস্তা।
[৩] শুক্রবার দুপুর ১২টায় লালমনিরহাটে তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার নিচে, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা ব্রিজ পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ৭৬ সেন্টিমিটার নিচে ও চিলমারী ঘাট পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ১০৫ সেন্টিমিটার নিচে প্রবাহিত হচ্ছিল।
[৪] লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, ‘নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। তবে এই অবস্থা চললে আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে নদীপাড়ে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে।
[৫] সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বলছে, যমুনায় এখনো বিপৎসীমার ১ দশমিক ৪১ মিটার (১৪১ সেন্টিমিটার) নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
[৬] আবহাওয়াবিদ ড. আব্দুল মান্নান বলেন, আগামী দুদিনও দেশের সর্বত্র বৃষ্টি থাকবে; তবে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমবে। যে পরিমাণ বৃষ্টি তিন ধরে চলল, আগামী কয়েক দিন পরিমাণে ততটা হবে না। তবে, জুলাই মাসে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের মধ্যাঞ্চলে বৃষ্টি থাকতে পারে তুলনামূলকভাবে বেশি।
[৭] বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, বহ্মপুত্র-যমুনা ও পদ্মার পানি বাড়ছে, আগামী ৭২ ঘণ্টা তা অব্যাহত থাকতে পারে। উত্তর পূর্বাঞ্চলে আপার মেঘনা অববাহিকায় নদ-নদীর পানি বেড়ে কোথাও কোথাও আকস্মিক বন্যার শঙ্কা রয়েছে।
[৮] দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, উত্তর-মধ্যাঞ্চল, মধ্যাঞ্চলের বহ্মপুত্র-যমুনা ও পদ্মা অববাহিকার লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, পাবনা, নওগাঁ ও নাটোর জেলঅর নিম্নাঞ্চলে বন্যার শঙ্কা রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :