তপু সরকার) : [২] লকডাউনে কার্যকর করতে শুক্রবার সকাল থেকেই শেরপুরে কাজ করছে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও ব্যাটালিয়ান আনসার সদস্য।
[৩] সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, মাঠে রয়েছে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও কান পাট বন্ধ এবং হাতে গুনা কয়েকটি ২/৩ মুদির দোকান খোলা থাকলেও সকালে রুপকথা মার্কেটের সামনে কালি মন্দিরের পাশে রনিষ্টোর এর একসাটার খোলা হলেও সাথে সাথে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত এসে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করে । পরোক্ষণেই সব কিছু বন্ধ হয়ে যায় ।
[৪] এদিকে শহরের থানামোড়, শহীদবুল বুল সড়ক,মুন্সিবাজার, খরমপুর, কলেজমোড়, খোয়ারপার, বাসটার্মিনাল, গোয়ালপট্রি, নয়ানী বাজার ,বটতলা, কালিবাজার , ট্রাকটার্মিনাল এলাকা ছিল জনশূণ্য । রিকস্ া, অটোরিকস্ া,ব্যাটারী চালিত অটো, সিএনজি, ঠেলাভ্যান গাড়ী এগুলি ও চোখে পড়ারমত নয় ।
[৫] বিভিন্ন মেকারের দোকান ,পার্সসের দোকান,মটরগ্যারেজ তারাও লকডাউনের সরকারী নির্দেশনা মেনে দোকানপাট কর্মক্ষেত্র বন্ধ রাখে । অটোচালক আফজাল হোসেন বলেন, আমাদের দিন এনে দিন খাই..আমাদের পরিবারের জন্য খুবই কষ্টকর সরকারী ত্রানের ব্যবস্থা এবং বাস ড্রাইভার আজিম বলেন সরকারি ত্রানের ব্যবস্থা না হলে আমাদের পরিবারের জন্য খুবই সমস্যা । আমাদের সন্তানদের খাবার দিতে হবে । শেরপুরের জেলা প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টি আহ্বাবান জানান সাধারন শ্রমিকরা আমাদের ত্রানের ব্যবস্থা করতে হবে ..তবেই তো ঘরে বসে থাকবো । এদিকে সকাল থেকেই সারা শহরে পুলিশ, সেনাবাহেনী এবং জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত সক্রিয় ভাবে রাস্তায় কাজ করছেন ।
[৬] জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী লকডাউন কার্যকর করতে ইতোমধ্যে কঠোর অবস্থানে শেরপুর জেলা প্রশাসন স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে প্রশাসন রয়েছে বেশ কঠোর অবস্থানে।
[৭] এছাড়া জেলা প্রশাসনের সকল নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটসহ কর্মকর্তাদের শহরের বিভিন্ন প্রান্তে সচেতনতা সৃষ্টি ও লকডাউনের নির্দেশনা মানাতে কাজ করতে দেখা গেছে।
[৮] কিন্তু ভ্রাম্যমাণ আদালত ও টহল শেষেই সাধারণ মানুষের আনাগোনা ছিলো চোখে পড়ার মতো।
আপনার মতামত লিখুন :