মাসুদ আলম : [২] ছুটির দিন, কঠোর বিধিনিষেধ এবং বৃষ্টি, তিনে মিলে জনশূন্য রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো। মানুষ আর যানবাহনের কোলাহলপূর্ণ সড়কে বিরাজ করছে সুনসান নীরবতা। মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত গাড়িকে দাঁড় করিয়ে গন্তব্যে যাওয়ার কারণ বিষয়ে প্রশ্ন করা হচ্ছে। তবে পাড়া মহল্লায় অবস্থা যত্রতত্র। যে যারমতো ঘুরাফেরা করছে। দোকানপাট এবং বাজারগুলোয় সকাল থেকেই ছিল সাধারণ মানুষের ভিড়।
[৩] শুক্রবার বিধিনিষেধ সর্বাত্মকভাবে পালন করাতে সড়কে পুলিশের পাশাপাশি কাজ করছে র্যাব। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যদের টহল দিচ্ছে ।
[৪] সরজমিনে দেখা যায়, প্রধান সড়কগুলো জনশূণ্য থাকলেও অলিগলিতে জমজমাট আড্ডা দিতে দেখা যাচ্ছে। অধিকাংশ দোকানদার ও ক্রেতাদের মুখে মাস্ক নেই। পুলিশের তৎপরতাও কম। আবার পুলিশের গাড়ি দেখলে সবাই তৎপর হয়ে যায়। যে যারমতো ঘুরাফেরা করছে। চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছে। সড়কে পুলিশের টহল গাড়ি, জরুরি খাদ্য ও পণ্যবাহী ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্স, গুটিকয়েক প্রাইভেটকার ও রিকশা ছাড়া অন্য তেমন কোনো যানবাহন দেখা যায়নি।
[৫] তুরাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সফিউল্লাহ বলেন, বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে রেব না হওয়ার অনুরোধ করেন। অকারণে যারা বের হবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশি মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানতেও সচেতন করা হচ্ছে।