শিরোনাম
◈ সরকারি দপ্তরগুলোতে গাড়ি কেনা ও বিদেশ সফরে কড়াকড়ি: কৃচ্ছ্রনীতির অংশ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা ◈ ২১ বছর বয়স হলেই স্টার্ট-আপ লোনের সুযোগ, সুদ মাত্র ৪%: বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা ◈ ঢাকায় একটি চায়না টাউন প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে: আশিক চৌধুরী ◈ তিন বোর্ডে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ◈ এসএসসির ফল নিয়ে যে বার্তা দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা ◈ সৈক‌তের কা‌ছে দু:খ প্রকাশ ক‌রে‌ছেন ‌বি‌সি‌বির প্রধান নির্বাচক  ◈ ভারত সরকারকে আম উপহার পাঠাল বাংলাদেশ ◈ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৬ কর্মকর্তা বদলি ◈ কল রেকর্ড ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি, অপেক্ষায় থাকুন: তাজুল ইসলাম ◈ জাতীয় নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা : প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ০২ জুলাই, ২০২১, ০১:১৪ রাত
আপডেট : ০২ জুলাই, ২০২১, ০১:১৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মার্কিন সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রামশফেল্ড মারা গেছেন

অনলাইন ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ডোনাল্ড রামশফেল্ড মারা গেছেন। বুধবার (৩০ জুন) তার পরিবারের এক ঘোষণায় এ খবর জানানো হয়। তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। তার নেতৃত্বেই ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধ পরিচালিত হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের আমলে অধিকাংশ সময় মার্কিন সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন এই রামশফেল্ড। মার্কিন সৈন্যরা ইরাকের রাজধানী বাগদাদ দখলে নেয়ার পর যে ব্যাপক লুটপাটের ঘটনা ঘটে তা পুরোপুরি অস্বীকার করে রামশফেল্ড ব্যাপক হঠকারী হিসেবে পরিচিতি পান। তার পরিবার থেকে বলা হয়েছে, তিনি নিউ মেক্সিকোর তাওসে নিজ বাসভবনে মারা গেছেন।

এদিকে বুশ তার এই প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে অনুকরণীয় সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। বুশ ইরাকের আগ্রাসনের কথা সরাসরি উল্লেখ না করে বলেছেন, রামশফেল্ড আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর একজন বিশ্বস্ত কর্মবীর। তিনি আমেরিকাকে নিরাপদ ও আরো ভালো রাখার সেবায় নিয়োজিত ছিলেন।

প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেটরা ২০০৬ সালে কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর রামশফেল্ড পদত্যাগ করেছিলেন। তিনি ১৯৩২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে জন্ম নেন। রাশফেল্ড ১৯৭৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র্রের সবচেয়ে কম বয়সী প্রতিরক্ষামন্ত্রী হন। তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট বুশের অধীনে দ্বিতীয় দফায় সবচেয়ে বেশি বয়সী প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরে যখন পেন্টাগনে বিমান হামলা ঘটেছিল তখন তিনি পেন্টাগনেই ছিলেন। ধসে পড়া ভবনের পাশে তিনিই প্রথম কোনো সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে উপস্থিত হন। আহতদেরকে স্ট্রেচারে তুলে নিতে সহায়তা করেন।

এর এক মাসেরও কম সময় পরে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে বোমা হামলা শুরু করে । মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তালেবান সরকারের পতন ঘটে। এরপরই ইরাকের দিকে চোখ ফেরায় যুক্তরাষ্ট্র। ইরাকের হাতে ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্র আছে এ অজুহাতে হামলা চালানো হয় দেশটিতে। কিন্তু ইরাকে সেই অস্ত্র না পাওয়া যাওয়ায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন রামসফেল্ড।

তিনি ২০১১ সালে ‘নোন অ্যান্ড আননোন’ নামে একটি স্মৃতিকথা লেখেন। সেখানে ইরাকের আবু ঘারিব কারাগারে বন্দী নির্যাতন নিয়ে দু:খ প্রকাশ করেন। আবু ঘারিব কারাগারের বিষয়ে তিনি বিভ্রান্তিতে ছিলেন বলে জানান। তবে স্মৃতিকথায় ইরাক হামলা যৌক্তিক ছিল বলেই তিনি উল্লেখ করেন।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়